জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রথযাত্রা বাংলায় হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ ভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
গত কয়েক দিন ধরেই বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের অঙ্গ হিসাবে তাদের রথযাত্রা নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর রায় এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা গোটা ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক করে তুলল।
বেশ কিছু দিন আগেই রাজ্য বিজেপি ঘোষণা করে, তারা বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের নামে তিনটি রথযাত্রা করতে চায়। কোচবিহার, তারাপীঠ এবং সাগর থেকে তিনটি রথ এসে কলকাতায় পৌঁছবে। তার পর ব্রিগেডে সভা হবে। তিনটি রথই সূচনা করার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু, রাজ্য সরকার ওই রথযাত্রার অনুমতি দেয়নি।
বৈঠকে চন্দ্রবাবু এবং মমতা, কথা হল বিজেপি বিরোধী জোট নিয়ে
এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ তুলে মামলা রুজু করে বিজেপি। সেই মামলার শুনানি ছিল গত বৃহস্পতিবার। দিনভর শুনানি শেষে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, আইনশৃঙ্খলাজনিত কারণে রাজ্য সরকার ওই রথযাত্রার অনুমতি দিতে পারেনি। বিজেপির রথযাত্রা কর্মসূচি স্থগিত রেখে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ৯ জানুয়ারি ঠিক করেন বিচারপতি চক্রবর্তী। এর পরেই হাইকোর্টে বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপি আবেদন জানায়।
শুক্রবার বিচারপতি সমাদ্দারের বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেয়। ওই বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আগামী বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বিজেপির তিন নেতা বৈঠক করে রথযাত্রার রূপরেখা ঠিক করবেন। বৈঠকে কী হল, তা রাজ্য সরকারকে আগামী শুক্রবার আদালতে জানাতে বলা হয়েছে। এ দিন কোচবিহার থেকে বিজেপির প্রথম রথযাত্রার সূচনা হওয়ার কথা ছিল। যদিও বিজেপি সেই রথযাত্রা আপাতত স্থগিত করে দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ আসার আগেই এ দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন অমিত শাহ। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ তার একের পর এক উদাহরণ তুলে ধরে অমিত এ দিন মমতাকে কার্যত তুলোধনা করেছেন। বিজেপির উত্থানে যে মমতা ভয় পেয়ে রথযাত্রায় অনুমতি দেননি, এ দিন সেই অভিযোগও তুলেছেন অমিত। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্যে রথযাত্রা বিজেপি নিশ্চিত ভাবেই করবে। সে জন্য প্রয়োজনে যদি সুপ্রিম কোর্টে যেতে হয়, বিজেপি সেটা যেতেও প্রস্তুত বলে জানিয়ে দেন অমিত শাহ।
ফিরহাদ হাকিম নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েই নিজের ফোন নম্বর দিলেন
Mamata Banerjee's govt has failed on all fronts. West Bengal is among the top states in terms of political violence.
Due to the politics of appeasement, law & order in the state has completely collapsed. Even the administration in Bengal is complicit in this vote bank politics. pic.twitter.com/cJ3sCnu63c
— Amit Shah (@AmitShah) December 7, 2018