বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং শিবরাজ সিংহ চৌহান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এমন একটা সময়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সুইৎজারল্যান্ডের ডাভোসে। হঠাৎ সোমবার রাতে দুই শিবিরের দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠকে ভোপাল ও দিল্লিতে প্রবল জল্পনা তৈরি হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ দিল্লি থেকে ভোপালে এসেছি‌লেন কংগ্রেস সাংসদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের শ্রদ্ধা জানানোর পরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা শিবরাজ সিংহ চৌহানের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন জ্যোতিরাদিত্য। কংগ্রেস সূত্রে খবর, ওই দিনই দিল্লি থেকে ভোপালে ফিরেছিলেন শিবরাজ। তাঁকে খবর পাঠিয়ে সাক্ষাতের সময় স্থির করেন জ্যোতিরাদিত্য। তার পর কয়েক জন সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যান।

প্রায় ৪০ মিনিট ধরে বৈঠকের পরে রাত দশটা নাগাদ বেরিয়ে আসেন দুই নেতা। জ্যোতিরাদিত্য বাইরে সাংবাদিকদের জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ে জ্যোতিরাদিত্যকে ‘মাফ করো মহারাজা’ বলে খোঁচা দিত বিজেপি। সে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জ্যোতিরাদিত্য জানান, তিনি তিক্ততা নিয়ে চলতে পছন্দ করেন না। রাত গয়ি বাত গয়ি। ভোটের সময়ের তিক্ততা পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলায় বিশ্বাসী।

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা কি মার্চেই? নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে দেশ জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে

প্রায় একই সুরে শিবরাজ জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কারও কোনও অভিযোগ নেই। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, মধ্যপ্রদেশে দল তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ জ্যোতিরাদিত্য। তাই এ ভাবে তিনি কমল নাথকে বার্তা দিয়ে থাকতে পারেন। আবার লোকসভা ভোটে গুনা-শিবপুরী কেন্দ্রে জ্যোতিরাদিত্যের বিরুদ্ধে তাঁর পিসি যশোধরা রাজে বা কোনও হেভিওয়েট নেতা বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। রাজনীতিকদের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে কোনও সমঝোতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। অনেকের মতে, মধ্যপ্রদেশে বিরোধী নেতার দায়িত্ব না পাওয়ায় শিবরাজও ক্ষুব্ধ। কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে তলে তলে যোগাযোগ রাখছে বলে ধারণা অনেকের।

মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, কর্নাটকের কায়দায় মধ্যপ্রদেশেও দল ভাঙিয়ে সরকার গড়তে চাইছে বিজেপি। বিজেপিতে মধ্যপ্রদেশের দায়িত্বে থাকা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও সম্প্রতি জানান, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ পেলেই ভোপালে সরকার গড়ে ফেলবেন তাঁরা। এই আবহে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা রাজনীতিকদের।

(দেশের আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন)