বিশ্বের সব থেকে ছোট সদ্যজাত ১৩ মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেল

বিশ্বের সব থেকে ছোট সদ্যজাত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিশ্বের সব থেকে ছোট সদ্যজাত সেই। জন্মেই সে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলেছিল। তার পর কেটে গিয়েছে ১৩ মাস। জন্মের পর থেকে হাসাপাতালেই থাকতে হয়েছে তাকে ও তার মাকে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরল বিশ্বের সব থেকে ছোট বাচ্চা কোয়েক ইউ জুয়ান। জন্মের সময় যার ওজন হয়েছিল ২১২ গ্রাম। যা একটা আপেলের সমান। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে গত বছর ৯ জুন জন্ম হয় তার। মাত্র ২৫ সপ্তাহেই জন্ম হওয়ায় তার ওজন এতটা কম হয়। এবং সে ছিল ২৪ সেন্টিমিটারের।

যখন তাকে প্রথম দেখেছিল, নার্সরাও নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেননি। তার পর পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে লড়াই শুরু ডাক্তারদের। দীর্ঘ ১৩ মাসের লড়াইয়ে সাফল্য এসেছে। এখন তার ওজন ৬.৩ কেজি। দীর্ঘদিন হাসপাতালের পর্যবেক্ষণে থাকার ফলেই এই উন্নতি। থাকতে হয়েছিল ভেন্টিলেটরেও। এই পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই মীরাক্কেল। মনে করা হচ্ছে, সেই বিশ্বের সব থেকে ছোট প্রিম্যাচিওর শিশু যে বেঁচে রয়েছে। এর আগে এই রেকর্ড ছিল ২০১৮-তে আনেরিকায়। যার ওজন ছিল ২৪৫ গ্রাম। অদ্ভুতভাবে দু’জনেই কন্যা সন্তান।

হাসপাতালের এক নার্স বলেন, ‘‘আমি চমকে গিয়েছিলাম। তাই আমি সেই ডিপার্টমেন্টেরই প্রফেসরের সঙ্গে কথা বলি এবং জিজ্ঞেস করি এটা কী বিশ্বাসযোগ্য?  আমার ২২ বছরের নার্সের কেরিয়ারে আমি এত ছোট সদ্যজাত দেখিনি।’’ এতদিন পর তাকে জন্ম দেওয়া ডাক্তাররা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, প্রসবের আগে যে ওজন হতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল জন্মের পর দেখা গেল তার থেকেও কম।। ৪০০, ৫০০ বা ৬০০ গ্রাম ওজন হবে বলে মনে করা হয়েছিল কিন্তু তার ওজন হয় মাত্র ২১২ গ্রাম। তাঁরা এও জানিয়েছেন, এরকম প্রিম্যাচিওর বেবির চিকিৎসা করাও খুব কঠিন।

শিশুটি চামরা এতটাই পাতলা ছিল যে নল, ইনজেকশন ব্যবহার করা যেত না। খুঁজে সব থেকে ছোট অক্সিজেন টিউব বের করা হয়েছিল। তার পরও তাকে কেটে ব্যবহার করা হয়। তবে না জেনেও ডাক্তারদের উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছে ওই ছোট্ট শিশু। যেভাবে সে চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিল তাতে ডাক্তারদের আশা বজায় ছিল। শরীরের ওজনও বাড়তে শুরু করে। উন্নতি হতে শুরু করে। ডাক্তাররা বলেছিল, কোভিড-১৯-এর কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই এই শিশু ছিল আশার আলো। শিশুটির বাবা-মাকে রীতিমতো মেডিক্যাল জিনিস ব্যবহারের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে যাতে বাড়িতে যথোপযুক্ত চিকিৎসার মধ্যে থাকতে পারে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)