Omicron নিয়ে চিন্তিত হু, ফল হতে পারে মারাত্মক!

India Omicron

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Omicron ভ্যারিয়েন্ট আন্তর্জাতিক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের সব দেশকে করোনার টিকাকরণে জোর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখার নির্দেশিকাও দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনাভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টের স্পাইকই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছে বিজ্ঞানীদের। হু-এর দাবি, ওমিক্রনের হাত ধরে যদি কোভিড-১৯ ফের মাথাচাড়া দেয়, তা হলে তার ফল ভয়ানক হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনের কারণে বিশ্বের কোথাও কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ওমিক্রন নিয়ে ঝুঁকি থাকছে গোটা পৃথিবীর। তাদের দাবি, করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনও প্রচুর গবেষণা প্রয়োজন রয়েছে। পুরনো সংক্রমকগুলোর তুলনায় এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি ভয়ানক। শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে চিন্তা করার মতো ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ আলফা, বিটা, গামা এবং ডেলটার পর এখনও পর্যন্ত ওমিক্রনই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিজ্ঞানীদের কপালে।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওমিক্রন সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সামনে আসতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনার টিকা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে এই ওমিক্রন। যদিও টিকা নেওয়াদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের মাত্রা কিছুটা হলেও কম হবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ওমিক্রন প্রথম পাওয়া যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়। অন্য ১২টি দেশেও সন্ধান মিলেছে ওমিক্রনের। আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বৎসোয়ানা, ইটালি, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি, কানাডা, ইজরায়েল এবং চেক প্রজাতন্ত্রে।

Omicron

একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংলগ্ন দেশগুলি থেকে যাতায়াত করা বিমানের ক্ষেত্রে নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। ঘুরতে আসার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জাপান এবং ইজরায়েল তাদের দেশে কোনও বিদেশিকে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, শরণার্থী এবং পড়ুয়াদের জন্য তাদের দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে সীমান্ত সংক্রান্ত নির্দেশিকা ডিসেম্বর থেকে পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

যে সমস্ত দেশে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সে সব জায়গা থেকে ভারতে আসা বিমানযাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ নিয়ম আনছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। বিমানবন্দরে নামামাত্রই ওই সব যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। আন্তর্জাতিক উড়ানে ভারতে আসা প্রত্যেক যাত্রীকে সেল্ফ-ডিক্লেরেশন জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, জমা দিতে হবে আরটি-পিসিআর টেস্টের রিপোর্টও। এ দুটোর কোনওটা জমা না পড়লে ওই যাত্রীকে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)