আমেরিকা-তালিবান বৈঠক দোহায়, সেনা প্রত্যাহারের পর এই প্রথম

আমেরিকা-তালিবান বৈঠক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আমেরিকা-তালিবান বৈঠক অনুষ্ঠিত হল শনিবার। রবিবারও ওই বৈঠক চলবে বলে সূত্রের খবর। গত ৩০ অগস্ট আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে আমেরিকা। তার আগেই যদিও কাবুল দখল করে নেয় তালিবান। পালিয়ে যান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। সে সবের পর এই প্রথম আমেরিকা-তালিবান বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। এ দিন কাতারের দোহায় ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আফগানিস্তানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানিয়েছেন, আমেরিকা এবং তালিবান দু’পক্ষই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের চুক্তি বহাল রাখতে সম্মত হয়েছে। কী ছিল ওই চুক্তিতে? ওই চুক্তিতে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা আল কায়দাকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বসে আমেরিকা ও তার মিত্র শক্তিদের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ণ করার মতো কোনও কাজ করতে দেবে না। পাশাপাশি মুত্তাকির দাবি, আমেরিকা কোভিড টিকা এবং মানবিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মুত্তাকির কথায়, ‘‘তালিবান আন্তর্জাতিক স্তরে সমস্ত দেশের সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কের মানোন্নয়নে আগ্রহী।’’ পাশাপাশি তাঁর আবেদন, ‘‘কোনও দেশেরই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো উচিত নয়।’’

তবে আমেরিকা-তালিবান বৈঠক শেষে জো বাইডেনের দেশ কোনও মন্তব্য করেনি। বৈঠকের আগে তারা জানিয়েছিল, তালিবানের সঙ্গে আলোচনায় বসার মানে কোনও ভাবেই এই নয় যে, তারা আফগানিস্তানে তালিবানের শাসনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। বৈঠকের আগে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, তালিবান যাতে নারীর অধিকারকে সম্মান করে, সব পক্ষকে নিয়ে সরকার গঠন করে এবং ত্রাণ বণ্টনকারী সংস্থাগুলোকে কাজ করতে দেয়— এ সব বিষয়ে বৈঠকে তাঁরা আলোচনা করবেন। এবং বিষয়টি যাতে কার্যকরী হয়, সে চেষ্টাও করবেন।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, তালিবান প্রতিনিধিরা ওই বৈঠকে আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের রিজার্ভের উপর থেকে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা চলে যাওয়ায় তারা আর্থিক ভাবে বঞ্চিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তালিবান। কাবুলের পতনের পর ওয়াশিংটন ও তালিবানের মধ্যে এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার নাগরিক ও আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট (আইসিস) এবং অন্য জিহাদি গ্রুপগুলোর মোকাবিলায় আমেরিকাকে সহযোগিতা করার কথা তালিবান যদিও স্বীকার করেনি।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)