কাবুলে ঢুকে পড়ল তালিবান, চাইলে নিরাপদে শহর ছাড়ার নির্দেশ

আফগানিস্তান জ্বলছে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুলে ঢুকে পড়ল তালিবান বাহিনী। রাজধানীর চারদিক দিয়ে কাবুলের উপর অধিকার জমাতে শুরু করে দিল তালিবানরা। তবে সেখানে তারা কোনও যুদ্ধ বা রক্তপাত চায় না বলে জানিয়েছে। বরং আলোচনার মাধ্যমেই ক্ষমতার হস্তান্তর চায় তালিবানরা। অন্যদিকে আফগান সরকার দাবি করছে কাবুল এখনও তাদেরই দখলে রয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবনরা। শনিবার মাজার-ই-শরিফের পর রবিবার সকালেই জালালাবাদের দখল নিয়েছিল তালিবানরা। মাঝে মাত্র এক রাত তার মধ্যেই কাবুলের দখল নেওয়া শুরু হয়ে গেল। যা খবর ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের বাড়ির দখল নিয়েছে তালিবানের শীর্ষ নেতারা। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘনি।

এই কয়েক মাসে হাজর হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে তালিবানদের হামলায়। দেশ হাতছাড়া হতে বসেছে আফগান সরকারের। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশের উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তালিবানদের ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি সেই ভাষণে। তিনি জানিয়েছিলেন, গত ২০ বছরে দেশ অনেক কিছু পুনরুদ্ধার করেছিল কিন্তু তা সব এই ক’দিনে হারিয়ে গিয়েছে। এদিকে বিনা বাধায় জালালাবাদ দখল করেছে তালিবানরা। সেখানে কোনও যুদ্ধ বা রক্তক্ষরণ হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা। তবে মাজার-ই-শরিফে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।

২০০২-এ আফগানিস্তানকে তালিবানমুক্ত করেছিল মার্কিন সেনা। সেই থেকে উত্থানের শুরু হয় সেই দেশে, ফেরে শান্তি। কিন্তু আবার ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল। গত মে মাসে সরে যায় আফগান সেনা। তার পর থেকেই দেশের দখল নিতে শুরু করে তালিবানরা। এদিন কাবুলের দখল নিতে শুরু করতেই তালিবানের তরফে তাদের সেনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যুদ্ধ এড়াতে। এবং যাঁরা কাবুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে চান তাঁরা যেন নিরাপদে বেরিয়ে যেতে পারেন। মহিলাদেরও নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়েদের তুলে এনে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে তালিবানদের সঙ্গে। তবে যে শান্তির কথা বলা হচ্ছে তা হয়তো হবে না। এত সহজে শান্তিতে কাবুল দখল হওয়া মুশকিল। ইতিমধ্যেই রাজধানী শহর থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এদিকে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে তালিবানরা। এর মধ্যেই কাবুল ছেড়ে অন্যত্র সরছে মানুষ। আমেরিকার দূতাবাস থেকে তাদের কর্মীদের ইতিমধ্যেই হেলিকপ্টারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত একমাত্র কাবুল বিমানবন্দরই আফগানিস্তান সরকারের হাতে রয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)