টেক্সাসের হাইস্কুলে গুলি, মৃত ১০

টেক্সাসের হাইস্কুলে গুলি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টেক্সাসের হাইস্কুলে গুলি চলল শুক্রবার। আবারও আমেরিকার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা। টেক্সাস-এর সান্তা ফে-র এক হাইস্কুলের ঘটনা। প্রথমে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে জানা যায় ১০ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৯ জন পড়ুয়া ও ১জন শিক্ষক। স্থানীয় পুলিশ সূত্রের খবর একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও একজনকে আটক করা হয়েছে এই ঘটনায়। তাদের কাছে দু’ধরণের বন্দুক পাওয়া গিয়েছে। এবং পুলিশের বিশ্বাস এরা ছাত্র এবং এগুলো সেই বন্দুকবাজ ছাত্রের বাবা অস্ত্র। ছাত্রদের বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে যেন সন্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া না হয়। ১৭ বছরের এই ছাত্রেএর নাম দিমিত্রয়েস পাগোরিৎস।

এই বছর পর পর চলছে আমেরিকার বিভিন্ন স্কুলে বন্দুকবাজের হামলা। সাময়িক বন্ধ হলেও সেটা যে সত্যি বন্ধ হয়ে যায়নি তা আবার প্রমাণ করল শুক্রবারের ঘটনা। গত ফেব্রুয়ারিত ফ্‌লোরিডার  পার্ক ল্যান্ড স্কুলে ১৭ জন ছাত্রছাত্রীর বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল। যা আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল বন্দুকের লাইসেন্স যে কারও হাতে তুলে দেওয়ার নিয়ম নিয়ে। যদিও তার কোনও সুরাহা হয়নি। হ্যারিস কাউন্টি শেরিফ ইডি গোনজালেজ জানিয়েছেন, আট থেকে ১০ জনের এই বন্দুকবাজের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব হিউস্টন থেকে ৪৮ কিলোমিটার দুরের সান্তা ফি হাইস্কুলে।  গোলানজালেজ বলেন, ‘‘একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর একজনকে আটক করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। স্থানীয় হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, কম করে ন’জন আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তাঁদের শারীরিক অবস্থা বিস্তারিত কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে আহত হয়েছেন একজন পুলিশ অফিসারও। তাঁরও চিকিৎসা চলছে।

এয়ারপোর্ট থেকে ওড়ার পর মুহূর্তেই ভেঙে পড়ল বিমান

স্থানীয় টেলিভিশনের ছবিতে দেখা গিয়েছে পুরো স্কুল ঘিরে ফেলেছে পুলিশের গাড়ি। এবং ছাত্রছাত্রীদের লাইন করে নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। বন্দুকবাজের হামলা বন্ধ করা গিয়েছে। এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।  সকাল ৭.৪৫ মিনিটে হঠাৎই স্কুলের ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এবং ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসরুম ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। তখনই বন্দুকের আওয়াজ শুনতে পান অনেকেই। আমেরিকাবাসীদের এটা বুঝতে অসুবিধে হয়নি তাঁরা আবারও বন্দুকবাজের হামলার শিকার। যারা তখনই বন্দুকবাজের সামনে পড়েনি তারা তড়িঘড়ি নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।

স্কুল থেকেই ১৭ বছরের এক ছাত্রী তার প্রেমিককে ফোন করে জানান তিনি বন্দুকবাজের গুলিতে আহত হয়েছে। কিন্তু সে বেঁচে যাবে, তার চিকিৎসা চলছে। সেই ছাত্রীর পায়ে গুলি লাগায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। টেক্সাস ইউনিভার্সিটির মেডিক্যাল শাখার মুখ্য আধিকারিক ডক্টর ডেভিড মার্শাল বলেন, তাঁর অধিনে তিন জনের চিকিৎসা চলছে। তার মধ্যে দু’জন বড় একজন ১৮ বছরের নিচে। সে স্টুডেন্ট কিনা তা এখনই জানা যাচ্ছে না। একজনের অস্ত্রপচারও করা হয়েছে। আরও আহতদের জন্যও ব্যবস্থা তৈরি রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।