শেখ হাসিনা : কেউ খুনের চেষ্টা করলে তার গলায় কি ফুলের মালা দেব!

শেখ হাসিনা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শেখ হাসিনা এ বার মুখ খুললেন খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে। সম্প্রতি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চান বলে আবেদন জানান বিএনপির চেয়ারপার্সন তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই প্রসঙ্গে স্পষ্ট ভাবে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘কেউ খুনের চেষ্টা করলে তার গলায় কি ফুলের মালা দেওয়া হবে!’’ খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করানোর আবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, এখানে তাঁর কিছুই করার নেই। এটা এখন আইনের ব্যাপার।

পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, ‘‘খালেদা জিয়াকে যে জেল থেকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি, চিকিৎসা করতে দিয়েছি, এটাই কি বেশি নয়?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার হাতে যেটুকু ক্ষমতা, সেটুকু আমি দেখিয়েছি। আর কী চাই। আমাকে বলুন। এখন তিনি অসুস্থ। ওই যে বললাম না রাখে আল্লা মারে কে। আর মারে আল্লা রাখে কে। সেটাই মনে করুন। এখানে আমার কিছু করার নেই। আমার যেটা করার, আমি করেছি। এটা এখন আইনের ব্যাপার।’’

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পর শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আপনাকে যদি কেউ হত্যার চেষ্টা করত, আপনি কি তার গলায় ফুলের মালা দিয়ে নিয়ে আসতেন? আপনার পরিবারকে যদি কেউ হত্যা করত, আর সেই হত্যাকারীকে যদি কেউ বিচার না করে পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিত, তাদের আপনি কী করতেন? আমি থাকতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদে বসাল। যেখানে আমি বিরোধীদলীয় নেতা ছিলাম, সেখানে বসানো হল কর্নেল রশিদকে। কে করেছিল? খালেদা জিয়া।’’

কোটালিপাড়ায় বোমা হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘যখন বোমা পুঁতেছিল, তার আগে তাঁর (খালেদা জিয়া) বক্তৃতা কী ছিল? শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরে থাকুক, কোনও দিন বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। সেই কথাও বলেছিল। ভেবেছিল মরেই তো যাব। রাখে আল্লা মারে কে, আর মারে আল্লাহ রাখে কে। এখন আমার বেলায় সেটা হচ্ছে রাখে আল্লা মারে কে। তার পরেও খালেদা জিয়ার জন্য এত দয়া দেখাতে আমাকে বলছেন। কেউ এই প্রশ্ন করলে আমার মনে হয় আপনাদের একটু লজ্জা হওয়া উচিত। বাপ, মা, আমার ছোট ভাই রাসেলকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। তার পরেও আমরা অমানুষ না। অমানুষ না বলেই তাকে আমরা অন্তত তার বাড়ি থাকার, চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমার এগ্‌জিকিউটিভ ক্ষমতা আমার হাতে যতটুকু আছে, সেটা করেছি। বাকিটা আইনগত ব্যাপার।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দুর্নীতি করে করে এই দেশটাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। গ্রেনেড হামলার পর এত জন লোক আহত আমাদের, ২২ জন মানুষ মারা গেছে। পার্লামেন্টের একটা সেশনেও আলোচনা করতে দেয়নি। আমরা এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারিনি। এত বড় অমানবিক যে তাকেও আমি মানবিকতা দেখিয়েছি।’

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)