পাবুক ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ায় তছনছ অবস্থা তাইল্যান্ডের

পাবুক

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাবুক আছড়ে পড়ল, তছনছ হয়ে গেল তাইল্যান্ড। পূর্বাভাস মতো শুক্রবার স্থানীয় সময় সাড়ে ১২টা নাগাদ দক্ষিণ তাইল্যান্ডের নাখোন সি থাম্মারাত প্রদেশে আছড়ে পড়ে পাবুক।

প্রথমে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে শুরু করে ঝড়। উপড়ে যায় গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। প্রবল বৃষ্টিও হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রায় ৩৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে তাইল্যান্ডে এখন পর্যটকদের ভিড়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আটকে পড়েছেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, হাজার দশেক পর্যটক আটকে পড়েছিলেন। তাঁরা সুরক্ষিত রয়েছেন।

দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় পাবুক এ বার ক্রমশ আসছে আন্দামানের দিকে। আগামীকাল রবিবার রাতে পাবুক আন্দামান পেরোতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার দুপুরে আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ঘণ্টায় প্রায় ২১ কিলোমিটার বেগে ওই ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর পশ্চিমে সরে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে।

মরসুমের শীতলতম দিন, কলকাতার পারদ নেমে গেল ১২ ডিগ্রিতে

আবহাওয়াবিদদের মতে, পাবুকের প্রভাবে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হবে আন্দামানে। এর পর তা আস্তে আস্তে সরে যাবে মায়ানমারের দিকে। আগামী সোম-মঙ্গলবার ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে পাবুক। বর্তমানে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের বায়ুমণ্ডলের যা পরিস্থিতি, তাতে আন্দামান পেরোনোর পরেই পাবুক দ্রুত শক্তি হারাতে শুরু করবে।

দিল্লি মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় এ বার ক্রমশ আসছে আন্দামানের দিকে। আগামীকাল রবিবার রাতে পাবুক আন্দামান পেরোতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, পাবুকের প্রভাবে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই প্রায় ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হবে আন্দামানে। এর পর তা আস্তে আস্তে সরে যাবে মায়ানমারের দিকে।

পাবুকের প্রভাব কেটে যেতেই ফের রাজ্য জুড়ে ঠান্ডার কামড় শুরু হবে। কারণ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে উত্তরে হাওয়া আটকে যাচ্ছে। পাবুক কেটে যেতেই যান্ডা ফের নিজের দাপট দেখাবে। পাবুক নামটি দিয়েছে লাওস। সে-দেশের ভাষায় এর অর্থ, মিষ্টি জলের বড় মাছ।

মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাবুক বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চিন সাগরে ছিল। শনিবার সে আন্দামান সাগরে হাজির হয়েছে। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আন্দামানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে রবিবার। সাগর উত্তাল থাকায় দ্বীপপুঞ্জের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

(বিশ্বের আরও খবর পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)