ইমরান খান নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন, নিজেই জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী

ইমরান খানইমরান খান

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইমরান খান নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নন। আর কেউ নন, কথাটা খোদ ইমরান খান-ই লিখেছেন টুইটারে।

বেশ কয়েক দিন ধরেই পাকিস্তান জুড়ে দাবিটা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি ওই প্রস্তাবের সমর্থনে প্রায় তিন লাখ মানুষ আবেদনপত্রে স্বাক্ষরও করে ফেলেছেন। কিন্তু, বিষয়টি নিয়ে শেষমেশ খোদ ইমরান-ই আসরে নেমেছেন। সোমবার টুইটারে লিখে দিলেন, ‘আমি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য নই।’

এখানেই থামেননি ইমরান। নোবেল শান্তি পুরস্কার কার পাওয়া উচিত, তা নিয়েও টুইটারে মন্তব্য করেছেন তিনি। সেখানে ইমরান খান লিখছেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান এবং উপমহাদেশে শান্তি ও উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করতে পারবেন যিনি তেমন মানুষই এই পুরস্কারের যোগ্য।’

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় সিআরপিএফ-এর ৪৪ জন জওয়ান নিহত হন। তার পরেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেনাবাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার ছাড়পত্র দেন। এর পরেই ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা জইশ-ই-মহম্মদের প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেয়। তার পরের দিন অর্থাৎ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে পাক বায়ুসেনা। সে দিনই পাক সেনার হাতে ভারতীয় মিগ-২১ বাইসনের পাইলট অভিনন্দন বর্তমান বন্দি হন।

আর এই গোটা ঘটনাপ্রবাহে দু’দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। কূটনীতিকদের একটা বড় অংশের দাবি, ওই সময়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেশ কিছু সংযত পদক্ষেপ করেন। অভিনন্দন বর্তমানকেও মুক্তি দেয় পাক-সেনা। বিশ্ব দরবারে সেই পদক্ষেপ প্রশংসিতও হয় বলে কূটনীতিকদের ওই অংশটির দাবি। এর পরেই ইমরান খান মন্ত্রিসভার সদস্য ফাওয়াদ চৌধুরি পাক ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লিতে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নাম সুপারিশ করে প্রস্তাব আনেন।

তবে এর মধ্যে কূটনীতিকদের অন্য একটা অংশ দাবি করছেন, ইমরান খান বিশ্ব দরবারে নিজের মুখটি পুড়িয়েছেন। কারণ, পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি দমনে তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। উল্টে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে জঙ্গিরা বেশ আহ্লাদের সঙ্গেই জঙ্গি শিবির, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সন্ত্রাসের বীজ বপন— সবই করে চলেছে। আর এ সবকেই নীরবে প্রশ্রয় দিয়ে চলেছে পাক সরকার।

ওই অংশটির মতে, অভিনন্দন বর্তমান পাক সেনার হাতে বন্দি হওয়ার পর বিশ্ব দরবারে চাপের মুখ এপড়ে যায় ইমরান খান তথা পাকিস্তান। আর সেই চাপে পড়েই ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে বন্দি করার পরেও ছেড়ে দিতে হয় বেশ দ্রুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থেকে শুরু করে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া থেকেও ওই বন্দি করা জন্য আপত্তি করা হয়। তাঁদের দাবি, সৌজন্য নয় জেনিভা সম্মেলনের চুক্তি মেনেই পাকিস্তান মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে অভিনন্দনকে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

অভিনন্দন বর্তমান দেশে ফিরলেন, ওয়াঘা-অটারী সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পা দিলেন তিনি