পঞ্জশির কি তালিবানের দখলে, ৩০০ জঙ্গি হত্যার দাবি মাসুদ শিবিরের

পঞ্জশির

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পঞ্জশির কি তালিবানের দখলে এই প্রশ্ন যখন বিশ্ব জুড়ে উঠতে শুরু করেছে, তখনই ৩০০ জঙ্গি হত্যার দাবি করল আহমেদ মাসুদের শিবির। কাবুলের উত্তরে তালিবান বনাম নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের লড়াই ঘিরে নানা পরস্পরবিরোধী খবর প্রকাশ্যে আসছে। তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ সোমবার আফগান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা পঞ্জশির ঘিরে ফেলেছেন। অন্য দিকে, তালিবানবিরোধী জোটের সামরিক নেতা আহমেদ মাসুদের শিবির এ দিনই দাবি করেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জশিরমুখী তালিবান বাহিনীর উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে মোট ৩০০ জঙ্গি খতম করেছে তারা। আন্দারব এলাকায় তালিবান কনভয়ে বিরোধী জোট বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে।

পঞ্জশির প্রদেশের পাশাপাশি, পারওয়ান, বাঘলান এবং উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের কপিসা প্রদেশ থেকেও সংঘর্ষের খবর এসেছে সোমবার। তালিবান বিরোধী জোটের দাবি, পখতিয়া এবং কুন্দুজ প্রদেশে পার্বত্য এলাকায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সেনাবাহিনীর সদস্যদের একাংশ তালিবান বিরোধী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, রাজধানী কাবুলের পাশাপাশি কুন্দুজ এবং বলখ প্রদেশের মাজার-ই-শরিফ এলাকা থেকে তালিবান বাহিনী পঞ্চশির অভিযান শুরু করেছে।

আফগানিস্তানে একের পর এক প্রদেশ এক প্রকার বিনা যুদ্ধে আত্মসমর্পণ করলেও সে পথে হাঁটেনি হিন্দুকুশ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্জশির উপত্যকা। ১৫ অগস্টের পরও তাই তালিবানের দখলের বাইরে ছিল এই এলাকার বেশ কয়েকটি প্রদেশ। আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রস্তুত বিরোধী জোট। গনি জমানার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহও রয়েছেন তাঁর সঙ্গে। রয়েছেন, জৌঝান প্রদেশের ওয়ার লর্ড উজবেক সেনা আধিকারিক রশিদ দোস্তম।

আহমেদের বাবা আহমেদ শাহ মাসুদ দু’দশক আগে তালিবান বিরোধী নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের নেতা ছিলেন। ২০০১-এ সাংবাদিকের ছদ্মবেশে আল কায়দার মানববোমা হামলায় তিনি নিহত হন। আহমেদের বাহিনী এ বারও উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানে তালিবানকে শক্ত প্রতিরোধের মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য দিকে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে আফগান নিরাপত্তারক্ষী ও অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর মধ্যে চলল গুলির লড়াই। জার্মান সেনার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই ঘটনাটি সামনে আনা হয়েছে। হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে আইএস হামলা নিয়ে আশঙ্কার আবহে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।’

জার্মান সেনার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের উত্তর দিকের গেটে হঠাৎ করে ওই গুলির লড়াই শুরু হয়। ঘটনায় একজন আফগান নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জন আমেরিকান সেনাও রয়েছে। জার্মান সেনা জানিয়েছিল, তাদের কোনও সেনা আহত হননি ওই ঘটনায়।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)