মাসুদ আজহার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় নাম তুলে ফেলল, সায় দিল চিন

মাসুদ আজহারমাসুদ আজহার

জাস্ট দু‌নিয়া ডেস্ক: মাসুদ আজহার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় ঢুকে পড়ল। দীর্ঘ কূটনৈতিক দৌত্যের পর জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মাসুদ আজহার-এর নাম বুধবার ওই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হল।

এর আগেও নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকায় মাসুদ আজহার-এর নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চার বার বাধা দেওয়া হয়। প্রতি বারই নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তে ভেটো দিত চিন। এ বার সেই চিনই সায় দিল। মঙ্গলবার চিনের তরফে ইতিবাচক ইঙ্গিত মিলেছিল। এ দিন সেটাই বাস্তবের চেহারা নেয়।

এই সিদ্ধান্তের ফলে মাসুদ আজহার-এর যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে। এমনকি তার গতিবিধিতে রাশ টানাও সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

 আরও খবর পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সম্প্রতি ওবর মহা-যোগাযোগ প্রকল্পে ভারতের প্রতি ইতিবাচক সঙ্কেত পাঠিয়েছিল চিন। তাদের দেখানো ভারতের মানচিত্রে গোটা কাশ্মীর এবং অরুণাচলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। খুব দ্রুত চিন তাদের মনোভাব নিরাপত্তা পরিষদকে জানাবে।

কূটনৈতিক মহলের মতে, পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং ফ্রান্স যে ভাবে চাপ তৈরি করেছিল চিনের উপর, তাতে এই সিদ্ধান্তে আসা ছাড়া উপায়ও ছিল না বেজিংয়ের। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল চিন। সেটাও মূলত, পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে। গত কয়েক মাসে এই বিষয়টিও চিনকে বোঝাতে পেরেছেন আন্তর্জাতিক স্তরের কূটনীতিবিদরা। তা ছাড়া এ বারও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালে সেই চাপ যে আরও বাড়ত, তা আন্দাজ করতে অসুবিধা হয়নি চিনেরও। তাই এত চাপ উপেক্ষা কার্যত গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে বা সাহস দেখাতে পারেনি চিন। সেই কারণেই এই নমনীয় অবস্থান, মত কূটনীতিকদের।

এর আগে ২০০১ সালে কাশ্মীরের বিধানসভায় জঙ্গি হামলার পিছনেও ছিলেন মাসুদ। এই হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছিলেন। ভারতের সংসদেও হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। ২০১৬ সালে পাঠানকোট বায়ুসেনা শিবির এবং ২০১৮ সালে উরির সেনা ছাউনিতেও হামলা চালিয়েছিল মাসুদ আজহারের জঙ্গি দল জইশ ই মহম্মদ।

পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের প্রধান হল মাসুদ আজহার। অতীতে মাসুদ মুক্ত করতেই কন্দহর বিমান ছিনতাই কাণ্ড ঘটিয়েছিল জইশ। সম্প্রতি পুলওয়ামায় নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ের উপর হামলার ঘটনাতেও দায় স্বীকার করেছিল জইশ ই মহম্মদ। বস্তুত তার পর থেকেই মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জের উপর চাপ বাড়িয়েছিল নয়াদিল্লি।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

তৃণমূ‌লের ৪০ বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন, দাবি নরেন্দ্র মোদীর