বড় ক্ষতি জুকারবার্গের, ৩ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকায় লস ৭ বিলিয়ন ডলার

বড় ক্ষতি জুকারবার্গের

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বড় ক্ষতি জুকারবার্গের, পরিমাণ জানলে চমকে উঠবেন। হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে গত ৭ ঘণ্টায়। সোমবার রাত ৯টা নাগাদ হঠাৎই কাজ করা বন্ধ করে দেয় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। এই তিন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকের অধিনে চলে মানে জুকারবার্গের অধিনে। সঙ্গে সঙ্গেই অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেই খবর। গোটা বিশ্ব থেকে খবর আসতে শুরু করে এই তিন প্ল্যাটফর্ম কাজ করছে না। তবে এটা কোনও বড় বিষয় নয়। অতীতেও একাধিকবার বন্ধ হয়েছে এই সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তবে এত দীর্ঘ সময় ধরে তা বন্ধ থাকেনি, এবার যেমনটা হল।

সঙ্গে সঙ্গে সব মাধ্যমের তরফে বার্তা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যাতে দ্রুত সব আবার স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সব স্বাভাবিক হতে ভারতীয় সময় ভোর হয়ে যায়। স্বয়ং জুকারবার্গও এই সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করেছেন। তবে তাঁর যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা অনেকটাই। জানা যাচ্ছে ৭ ঘণ্টা এই সব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকায় জুকারবার্গের রোজগারে ক্ষতি হয়েছে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পড়ে গিয়েছে ফেসবুকের শেয়ার মূল্যও।

মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ভোর ৪টে নাগাদ সব আবার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে শুরু করে। এই তিন প্ল্যাটফর্ম যেমন মানুষের বিনোদনের অংশ তেমনই সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে কাজেরও বড় মাধ্যম এই তিন প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে যখন মানুষ বিশেষত ওয়ার্ক ফর্ম হোমে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে করোনাকালে। যার ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন এই তিন মাধ্যম এক সঙ্গে বিকল হয়ে যাওয়ায় মানুষ রীতিমতো বিপদে পড়ে গিয়েছিল। তবে কেন এমনটা ঘটল তা ফেসবুকের তরফে খোলসা করা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে শুধুই কী টেকনিক্যাল সমস্যা নাকি কোনও সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল জুকারবার্গের সংস্থা।

এই তিন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ টুইটারমুখি্ হয়ে পড়েন। সেখানে হ্যাশট্যাগের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ে নানা রকমের মিম। কেউ পোস্ট করেন, ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সবাই টুইটারের দিকে দৌঁড়চ্ছে। কেউ পোস্ট করেন, টুইটার হাসছে, বাকিরা কাঁদছে। কোথাও আগুন লেগে যাওয়া বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম। কোথাও দেখা যাচ্ছে, প্রচুর তারের মধ্যে ঢুকে রয়েছে একজন, ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এটা সত্যি সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মানুষ, হ্যাংআউট, জি-মেল চ্যাট, টেলিগ্রাম বা টুইটারের উপর ভরসা দেখাতে শুরু করেছিল।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)