আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত মালালা ইউসুফজাই

আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা থেকে দূরে রাখা হচ্ছে। রবিবার তা নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই। তালিবান জমানায় মেয়েরা স্কুলমুখি হতে পারছে না। তালিবানদের তরফে আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর বলা হয়েছিল, এবার মহিলাদের শিক্ষার বিষয়ে তারা সদর্থক ভাবনা-চিন্তায় রয়েছে। তবে মালালার মতে, এই ব্যবস্থা সাময়িক নয়। এটা আফগানিস্তানের মেয়েদের জন্য সারাজীবনের সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে বলেই তিনি মনে করেন। সম্প্রতি তিনি বিয়েও সেরেছেন পাকিস্তানের আসের মালিকের সঙ্গে। যা নিয়েও বিতর্ক হয়েছে। তবে অনেকদিন পর মালালার বক্তব্য শোনা গেল আফগানিস্তান নিয়ে।

২০১২তে মহিলাদের শিক্ষার স্বার্থে এক সভায় মালালার উপর হামলা করা হয়েছিল। তাঁর উপর হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানি তালিবান। তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাঁর মতে, ১৯৯৬ সালে যে নারী শিক্ষার উপর নির্বাসন লাগানো হয়েছিল তালিবানদের দ্বারা সেটা চলেছিল ৫ বছর। এবারও তেমনটাই হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

গত অগস্টে আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবানরা। তার পরই সেপ্টেম্বরে তালিবানদের তরফে ঘোষণা করা হয় ছেলেরা স্কুলে গেলেও মেয়েরা যেতে পারবে না। তবে মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই তাদের স্কুলে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু নিশ্চিত নন মালালা। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তালিবানদের অনুরোধ করছিল মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য। আমরা টি২০ লিডার ও বিশ্বের অন্যান্য লিডারদের অনুরোধ করছি আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।’’

১৫ বছর বয়সেই মালালা নারী শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ বছরেই জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। পাকিস্তানের তালিবান জঙ্গি গোষ্ঠী তেহেরক-এ-তালিবান ঘটিয়েছিল এই ঘটনা। আফগানিস্তানে মালালার হোম টাউন সোয়াত ভ্যালিতে যখন তিনি স্কুল বাসে করে যাচ্ছিলেন তখন তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছিল। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু ভয়ে তাঁর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাননি। দীর্ঘ একমাসের চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বিদেশে দীর্ঘদিন তাঁর চিকিৎসা চলে। তাঁর বই ‘আই অ্যাম মালালা’ রেকর্ড হিট করেছিল। বেস্ট সেলার হয়েছিল। তাঁর জীবন সম্পর্কে সকলেই ততদিনে জেনে গিয়েছিলেন। এর পর মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০১৪-তে তাঁকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। গত বছরই তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে দর্শন, পলিটিক্স ও ইকনমিক্সে স্নাতক হন।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)