জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-কে মুক্তি দেওয়া হোক, বাইডেনের কাছে দাবি প্রেমিকা স্টেলা মরিসের

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-কে মুক্তি দেওয়া হোকস্টেলা মরিস।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-কে মুক্তি দেওয়া হোক বলে এ বার দাবি তুললেন তাঁর প্রেমিকা স্টেলা মরিস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তিনি এই অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, যদি প্রেসিডেন্ট যুক্তরাজ্যকে বাধাহীন সাংবাদিকতার স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলতে চান আবার, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেড়ে যাওয়া জুতোয় যদি পা গলাতে না চান, তা হলে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-কে মুক্তি দেওয়া উচিত বাইডেনের।

২০১০ সালে ৫ লক্ষ আমেরিকার নথি ফাঁস করে গোটা বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক তথা কম্পিউটার প্রোগ্রামার জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সঙ্গে দুই সুইডিশ মহিলাকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ। এর পর ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। তার আগের সাত বছর ইকুয়েডরে রাজনৈতিক পুনর্বাসনে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। আমেরিকার গোপন নথি উইকিলিকসে ফাঁস করে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তখন থেকেই ইকুয়েডরের প্রাক্তন সরকার প্রেসিডেন্ট রাফাল করিয়ার চোখে ‘হিরো’ হয়ে ওঠেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সময়েই রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়া হয় অ্যাসাঞ্জকে।

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকায় ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অ্যাসাঞ্জের। আমেরিকায় প্রত্যর্পণের হাত থেকে বাঁচতে ব্রিটেনের আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন ৪৯ বছরের উইকি-কর্তা। ২০১০ সালে আফগানিস্তান এবং ইরাকে আমেরিকার সেনা অভিযান সংক্রান্ত ৫ লক্ষ গোপন ফাইল ফাঁস করে দিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১০-’১১ সালে মার্কিন সরকারের কম্পিউটার হ্যাক করে ওই গোপন নথি প্রকাশ্যে আনার অভিযোগ রয়েছে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি চার্জ রয়েছে। ওই মামলায় আমেরিকায় দোষী সাব্যস্ত হলে ১৭৫ বছরের কারাবাস হতে পারে অ্যাসাঞ্জের।

অ্যাসাঞ্জের পক্ষে এর আগেই সরব হয়েছে জার্মানি এবং রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাঁর হয়ে মুখ খুলেছে আমেরিকায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে লড়াই করা সংগঠনগুলিও। ২০১০-এ একটি যৌন নির্যাতনের মামলায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন। সে সময় লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১২ থেকে ’১৯ পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি। ’১৯-এর এপ্রিলে নাগরিকত্ব খারিজের পর ওই দূতাবাস থেকে তাঁকে বার করে দেয় ব্রিটিশ পুলিশ। পরে জামিনের শর্তভঙ্গ করায় অ্যাসাঞ্জকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কাছে অ্যাসাঞ্জের হয়ে অনুরোধ জানালেন তাঁর প্রেমিকা স্টেলা মরিস। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘যদি বাইডেন সত্যিই ট্রাম্পের উত্তরসূরি না হতে চান, তা হলে তাঁর অবশ্যই এই মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ-কে মুক্তি দেওয়া হোক ।’’


(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)