দুবাই যাওয়া দুই ভারতীয়কে পর পর মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল মাসাফায়

দুবাই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দুবাই গিয়েছিলেন রুটি-রুজির খোঁজে। সেখানে গিয়ে চাকরীও পেয়ে গিয়েছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে ভালই চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাৎই সব থমকে গেল। দু’মাস আগে নিখোঁজ হয়ে গেলেন মইদিন এমভি। কেরালা থেকে পাড়ি দিয়েছিলেন দুবাইয়ে। কিন্তু দু’মাস আগে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মইদিন। তখনও কিছু বুঝতে পারেনি কেরালার অবস্থিত তাঁর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু দিনের পর দিন খোঁজ না পেয়ে তাঁরা নড়েচড়ে বসেন। যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয় দুবাইয়ে। কোথাও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর।

মইদিনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না করাটা খুব একটা অস্বাভাবিক ছিল না। রবিবার আমার কাছে একটা ফোন আসে। আমাকে একটি দেহ শনাক্ত করতে বলা হয়। সোশ্যাল ওয়ার্কের তরফেই এই তথ্য এসে পৌঁছয়। আমি সেখানে গিয়ে ওর দেহ শনাক্ত করি।—আত্মীয়

রবিবার আবু ধাবি পুলিশ খুঁজে পেল মইদিনকে। তবে মৃত অবস্থায়। সমুদ্রে ভেসে উঠল মইদিনের দেহ। খালজ টাইমসের খবর অনুযায়ী, গত পাঁচ বছর ধরে দুবাইয়ে চাকরী করছিলেন কেরলের এই যুবক। গত মার্চে চাকরী চলে যায় তাঁর। তিনি কাজ করতেন মুসাফার একটি ওয়ার্কশপে। কিন্তু মার্চে বন্ধ হয়ে যায় সেই ওয়ার্কশপ। শেষ হয়ে তাঁর জব ভিসাও। তাও দুবাই ছাড়েননি মইদিন। নানা রকমের কাজ করে জীবন কাটাচ্ছিলেন।

ঘুম উড়েছে অসমবাসীর। প্রশ্ন উঠছে তাঁরা আসলে কাঁরা?

তাঁর পরিবার বা বন্ধুরা অনেকদিন যোগাযোগ করতে না পারলেও কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে, এমনটা সন্দেহ করেনি। মইদিনের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘রামাদানের সময় শেষ আমি ওকে ফোন করেছিলাম। মইদিনের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না করাটা খুব একটা অস্বাভাবিক ছিল না। রবিবার আমার কাছে একটা ফোন আসে। আমাকে একটি দেহ শনাক্ত করতে বলা হয়। সোশ্যাল ওয়ার্কের তরফেই এই তথ্য এসে পৌঁছয়। আমি সেখানে গিয়ে ওর দেহ শনাক্ত করি।’’

কিন্তু এখনও মইদিনের পাসপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ কেউই জানত না গত কয়েকমাস ধরে কোথায় থাকছিলেন মইদিন। তাঁর আত্মীয়দের অনুরোধে একটি সোশ্যাল ওয়ার্কার সংস্থা তাদের সাহায্য করছিল মইদিনকে খুঁজে পেতে। এ বার কাজ মইদিনের দেহ কেরালার তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া। একই রকমভাবে গত মাসে কেরালা থেকে দুবাইয়ের মাসাফায় যাওয়া আরও এক ব্যাক্তি নাম জাবার কেপি নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হন।