আমেরিকায় খুন ভারতীয় ছাত্র

আমেরিকায় খুন ভারতীয় ছাত্রস্বপ্ন অধরাই থেকে গেল শরথের। ছবি: ফেসবুক।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আমেরিকায় খুন ভারতীয় ছাত্র। এক বছর আগেও এই কানসাস সিটিতেই একইভাবে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল আরও এক ভারতীয়র। এ বার প্রাণ গেল শরথের।

ভেবেছিলেন বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে বড় চাকরী করবেন। সেই একরাশ স্বপ্ন সঙ্গে নিয়েই আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার শরথ কপ্পু। কানসাস সিটির ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি-কানসাস সিটিতে যোগও দিয়েছিলেন। বিদেশে পড়ার বিপুল খরচ পরিবারের কাছ থেক না নিয়ে নিজেই কাজ জোগার করে নিয়েছিলেন স্থানীয় এক রেস্টুরেন্টে। কিন্তু শেষটা সুখকর হল না। দুঃস্কৃতির গুলিতে বিদেশের মাটিতে আবারও প্রাণ গেল এক ভারতীয়র।

ভারতীয়রা দেশ ছাড়তে চাইছেন

‘ফিশ অ্যান্ড চিকেন মার্কেটে তিনি ছাড়াও শুক্রবার কাজে এসেছিলেন আরও পাঁচজন। রেস্টুরেন্টের সিসি টিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে গানম্যানের চেহারা। যদিও সে পালিয়ে যেতে সচেষ্ট হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধেয় এই গানম্যান রেস্টুরেন্টে পৌঁছয়। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ক্রেতাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বন্দুক বের করে। বাকিরা কাউন্টারের পিছনে লুকিয়ে পড়লেও শরথ না লুকিয়ে উল্টোদিকে দৌড়তে শুরু করেন। তখনই গুলি করতে শুরু করে সেই দুঃস্কৃতি। পিছনে গুলি লাগে শরথের। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

এই পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন রেস্টুরেন্টের মালিক শাহিদ। কানসাস সিটি পুলিশ ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও হাতে পেয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায়ও পাবলিশ করেছে পুলিশ। এমনকি তার খবর দিতে পারলে পুরস্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ। যেখানে বন্দুকবাজকে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা ঘটে স্থানীয় সময় সন্ধে ৭টায়। পুলিশ এসেই শরথকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

শরথ তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গাল জেলা থেকে ইঞ্জিনিয়ারং পাশ করেছিলেন। এই বছরের শুরুতেই মাস্টার ডিগ্রির জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি। হায়দ্রাবাদে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন বিদেশে পড়ার জন্য। শরথের পরিবারকে ইতিমধ্যেই তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। তাঁর দেহ দেশে ফেরানোর জন্য ব্যবস্থা চলছে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

এক বছর আগে এই কানসাস সিটিতেই এক পানশালায় খুন হয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের এক যুবক। ২০১৭র ২২ ফেব্রুয়ারি ইউএস নেভি প্রাক্তন অ্যাডাম পুরিন্তন সেদিন শ্রীনিবস কুচিভোতলার উপর গুলি চালিয়েছিলেন। আর চিৎকার করছিলেন, ‘‘আমার দেশে থেকে বেরিয়ে যাও।’’ এই বছর মে মাসে তাঁকেএ ফাঁসি দেওয়া হয়। শরথ কপ্পুর বয়স মাত্র ২৫। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসতেন। কিন্তু স্বপ্ন আর সফল হল না শরথের।