পাখির খাঁচায় বন্দি থাকতে হল ভারতীয় ফুটবলকে সমর্থন করায়

পাখির খাঁচায় বন্দি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাখির খাঁচায় বন্দি ভারতীয়রা। প্রতিবছর ভারত থেকে হাজারে হাজারে মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে উড়ে যায় টাকা রোজগারের আশায়। বিদেশের মাটিতে থেকে একটু যদি বেশি রোজগার করা যায় এই স্বপ্ন নিয়ে মাঝে মাঝেই শোনা গিয়েছে হারিয়ে গিয়েছে কর মানুষ। অনেকের পরিবার আজও হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছে কবে ফিরবে ঘরের ছেলেটা। বিদেশ থেকে ছেলে রোজগার করে টাকা পাঠাবে পরিবারের স্বচ্ছ্বলতা ফিরবে। কিন্তু হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় টাকা আসা। তার পর খবর। এরকম ঘটনা প্রতিদিনেরই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজও আরব আমিরশাহী জুড়ে ভারতীয় কর্মচারীদের খামতি নেই।

যদিও আমি যে কাহিনী বলতে চলেছি সেটা অতটাও গম্ভীর নয়। তবুও যে ইঙ্গিত এর মাধ্যমে পাওয়া গেল সেটা নিয়ে তো ভাবতেই হবে। এই মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বসেছে এএফসি এশিয়ান কাপের আসর। ভারতীয় ফুটবল দলও খেলছে সেখানে। ভারতের ভেন্যু করা হয়েছে আবুধাবিকে। ইতিমধ্যেই দুটো খেলা হয়ে গিয়েছে ভারতের। গ্যালারিতে ভারতের সমর্থকদেরও অভাব ছিল না দেশের হয়ে গলা ফাটানোর জন্য। আর ভারতের হয়ে গলা ফাটানোয় পাখির খাঁচায় বন্দি হতে হল কয়েকজন ভারতীয়কে।

প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচই ভারতের ছিল হোম টিম সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিরুদ্ধে। এই ম্যাট ঘিরে যে একটা হাড্ডিহাড্ডি লড়াইয়ের পরিবেশ তৈরি হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্টেডিয়ামে বা স্টেডিয়াম চত্তরে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সেই ম্যাচ ভারত ০-২গোলে হেরে যায়। কিন্তু তার পরই সবাইকে রীতিমতো রাড়িয়ে একটি ভিডিও বাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

লিঙ্কে ক্লিক করে দেখুন সেই ভিডিও:

সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক আরবি ব্যাক্তি একটি পাখির খাঁচার মধ্যে বন্ধ করে রেখেছেন বেশ কয়েকজন মানুষকে। আর আরবি ভাষায় তিনি কিছু একটা বাইরে থেকে বলছেন। আর ভিতরে বন্দি মানুষরা প্রথমে ‘ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া’ চিৎকার করছেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁরাই আবার ‘ইউএই-ইউএই’ চিৎকার করছেন। এবং সেই ব্যাক্তি কার পর সেই কাঁচার দরজা খুলে দিচ্ছেন।

যার মর্মার্থ দাঁড়ায় তোমরা আজ ইউএইকে সমর্থন করবে ভারতকে না। তারা যতক্ষণ ভারতকে সমর্থন করার কথা বলেছেন তাদের আটকে তাকতে হয়েছে পাখির খাঁচায়। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে স্থানীয় প্রশাসন। যে ভিডিওটি তুলেছে ও পোস্ট করেছে তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তার আগেই সেই ব্যাক্তি আরও একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, পুরো বিষয়টিই ছিল মজা করে। যাঁদের বন্ধ করে রাখা হয়েছিল তাঁরা সকলেই আতঁর কর্মচারী। তাদের মধ্যে একজনকে তিনি ২২ বছর ধরে চেনেন। এই ফার্মেই তিনি তাঁদের সঙ্গে থাকেন এক থালায় খান।

এই ঘটনা মজার হলেও মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেটা সহজভাবে নিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসনও। তদন্তের নির্দেস জারি করা হয়েছে।

(বিদেশের আরও খবরের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন)