কাবুল থেকে উদ্ধার ভারতীয় দূতাবাস কর্মীরা, কতটা কঠিন ছিল কাজ

আরও ৮৫ ভারতীয় উদ্ধার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবু‌ল থেকে উদ্ধার ভারতীয় দূতাবাস কর্মীরা সঙ্গে বেশ কিছু সাধারণ নাগরিকও। মঙ্গলবার ১৩০ জনকে নিয়ে সকালে দিল্লিতে অবতরণ করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। সোমবারও ৪৫ জনকে নিয়ে একটি বিমান দিল্লি পৌঁছেছিল। শেষ যে যাত্রীবাহী বিমানটি কাবুল থেকে উড়েছিল দিল্লির উদ্দেশে তাতে ফিরেছিলেন ১২৯জন ভারতীয়। তার পর বলা হয়েছিল দূতাবাসের কর্মীদের এখনই ফেরানো হচ্ছে না তবে পরিস্থিতির উপর সামনে থেকে নজর রাখছে কেন্দ্র সরকার। পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু দু’দিনের মধ্যেই বাধ্য হল তাঁদের ফেরাতে। তবে এই পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর বিমান ছাড়া আর কিছু সেখানে পাঠানো সম্ভব নয়।

রবিবার যখন তালিবানরা কাবুল দখল করেছিল তখন তারা শান্তির বার্তা দিয়েছিল। রক্তপাত না করে যাঁরা কাবুল ছাড়তে চান তাঁদের ছাড়ার অনুমতি দিয়েছিল তালিবানরা। তাদের বাধা দেয়নি ঘনি সরকার। বরং রবিবারই দেশ ছেড়ে পালান তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বিভিষিকার তালিবানী রাজত্ব শুরু হয়ে যায় কাবুলে। কাতারে কাতারে মানুষ বিমানবন্দরে ধুকে পড়েন। তার মধ্যেই ভারতীয়দের ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মঙ্গলবার যে ১৩০ জন ফিরেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দূতাবাস কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা।

দুটো ভারতীয় বায়ূসেনার বিমান সি-১৭ ১৫ অগস্ট কাবুল পৌঁছেছিল ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী ও ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার কর্মীদের উদ্ধারের জন্য। কিন্তু এই কাজ সহজ ছিল না। ১৫ ও ১৬ অগস্ট পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। যার ফলে উদ্ধারকাজ সম্ভব হয়নি। ভারতীয় দূতাবাসও ছিল তালিবানদের নজরে। তালিবানরা শাহির ভিসা এজেন্সিতেও হানা দিয়েছিল, যারা আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসার ভিসা দিয়ে থাকে। সোমবার যে প্রথম ৪৫ জনকে নিয়ে বায়ুসেনার বিমান দিল্লি পৌঁছেছিল তার আগে তাদের তালিবানদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল।

সূত্রের খবর, বিমান বন্দরে যাওয়ার পথে তাদের আটকানো হয়। বেশ কয়েকজনের থেকে বেশ কিছু জিনিস তালিবানরা নিয়ে নেয়। সেখান থেকে প্রান ফিরে পেয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছলেও বিমান ওড়ানো সহজ ছিল না। কারণ রানওয়ে জুড়ে ছিল জনজোয়ার। স্থানীয়রা সকলেই চাইছিল দেশ ছাড়তে। সামনে যে বিমানই পাচ্ছিলেন তাতেই উঠে পড়ার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু ওই ৪৫ জন ছাড়া সোমবার মানুষের ঢলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বাকিদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর পর সোমবার সারারাত ইউএস সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়কিশানের আলোচনার ফলে এদিন বাকিদের উদ্ধার সম্ভব হয়। এই বিমানটি দিল্লি হয়ে অবতরণ করে গুজরাতের জামনগরে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)