পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতির ভারত যোগ, কী সেই সম্পর্ক যা ছিল নেহরুর সঙ্গে

পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতির ভারত যোগ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাকিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপতির ভারত যোগ , এই খবর নিয়ে তোলপাড় দুই দেশ। সদ্য পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব উঠেছে ডক্টর আরিফ আলভির কাঁধে। তার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে কানাঘুঁষো। পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফ রাজনৈতিক দলের ওয়েব সাইটে এমনটাই দাব করা হয়েছে। বর্তমান পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভারত যোগ সেই নেহরু আমলের। ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে।

কী সেই ভারত যোগ?

আরিফ আলভির বাবা ছিলেন দাঁতের ডাক্তার। আরিফ আলভি নিজেও একজন ডেনটিস্ট। তবে এখন আর ডাক্তারি করেন না আরিফ। পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত তিনি। ৬৯ বছরের এই পাক রাষ্ট্রপতির ডেনটিস্ট বাবা ছিলেন জওহরলাল নেহরুর ব্যক্তিগত ডাক্তার। মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁকে বেঁছে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার পরই তাঁর ভারত সম্পর্ক নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

আরিফ পাকিস্তানের ১৩তম রাষ্ট্রপতি। আরিফের লড়াই ছিল পাকিস্তান পিপলস পার্টির আইতজাজ এহসান ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-এম এর প্রার্থী মৌলানা ফজল উর রহমানের সঙ্গে। তিনি পাকিস্তানের ১৩তম রাষ্ট্রপতি। নেহরুর দাঁতের ডাক্তারের ছেলে হওয়া ছাড়াও ভারত যোগ রয়েছে আরিফের। তিনিই পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি যাঁরা দেশ ভাগের পর ভারত থেকে পাকিস্তানের গিয়েছিলেন।

কেন তিনি আলিঙ্গন করেছিলেন পাক সেনাপ্রধান কমর সিংহ বাজওয়াকে? 

তাঁর পূর্বপুরুষ মামনুন হুসেনের পরিবার দেশ ভাগের সময় আগ্রা থেকে পাকিস্তানে গিয়ে আস্তানা গেড়েছিল। এর আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মুশারফের বাবা-মাও দিল্লি থেকে পাকিস্তানের গিয়েছিলেন। আলভির বাবা ডক্টর হাবিব উর রহমান এলাহি আলভি দেশ ভাগের আগে জওহরলাল নেহরুর ডেনটিস্ট ছিলেন। ছেলে আলভির জন্ম হয়েছিল করাচিতে ১৯৪৯এ। বাবা পেশাই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। আলভির রাজনীতিতে হাতেক্ষরী পাঁচ যুগ আগে। তখন তিনি ছাত্র। ছাত্র রাজনীতি করার সময়  গুলিতে আহতও হয়েছিলেন তিনি। সেই বুলেট এখনও রয়েছে তাঁর হাতে। যা তিনি তাঁর লড়াইয়ের প্রমাণ হিসেবে রেখে দিয়েছেন।

আরিফের নির্বাচনে লড়ার শুরু ১৯৭৯ থেকে জেআইএইচ-এর হয়ে। কিন্তু হারতে হয় তাঁকে। এর পর জেআইএইচ ছেড়ে পিটিআই শুরু করেলন ১৯৯৬এ। ১৯৯৭এ নতুন দলের হয়ে নির্বাচনে প্রথম লড়াই। ২০০৬ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পিটিআই-এর সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন তিনি। ডাক্তারি পড়া প্রথমে লাহৌরের স্থানীয় কলেজে। এর পর মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয় ও সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব প্যাসিফিক থেকে ডিগ্রি নিয়ে পাকিস্তানে ডাক্তারি শুরু করেন। পাকিস্তান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি।