হাইতি কেঁপে উঠল ভয়াবহ ভূমিকম্পে, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.২

হাইতি কেঁপে উঠল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাইতি কেঁপে উঠল, ভয়াবহ ভূমিকম্পের পরিমান রিখটার স্কেলে ৭.২। ভূমিকম্পের যে তীব্রতা ছিল তাতে মনে করা হচ্ছে প্রচুর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।  পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে  ১০০ মাইল দূরে হাইতির পশ্চিমাংশ ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। মুহূর্তের মধ্যে তার আশপাশের বাড়িঘর মাটিতে মিশে যায়। মানুষ প্রাণ ভয়ে ছুটতে থাকে। শনিবার স্থানীয় সময় তখন সকাল। ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ কেঁপে ওঠে হাইতি। এর ধাক্কা অনুভূত হয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সর্বত্রই। হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম পেনিনসুলা রীতিমতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। বাড়ি, স্কুল সব মিশে গিয়েছে মাটিতে।

এপি সেন্টারের কাছেই থাকা  ২১ বছরের ক্রিস্টেলা সেন্ট এএফপিকে জানিয়েছেন, প্রচুর বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, মানুষ মারা গিয়েছে এবং কিছু হাসপাতালে। এখনও হতাহতের পরিমাপ করে ওঠা সম্ভব হয়নি। প্রচুর রাস্তা ধসে গিয়েছে। এমনও হয়েছে অস্তিত্বই হারিয়ে গিয়েছে কোথাও কোথাও রাস্তার। মনে করা হচ্ছে ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে। এর সঙ্গে সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। হাইতিতে ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়েছে।

ডাকা হয়েছে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমকে। হোয়াইট হাউসের তরফে দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। জো বাইডেন তেমনই নির্দেশ দিয়েছে‌ন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ঙ্কর সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন তাঁদেরই মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই সব ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ধ্বংস স্তুপের নিচ থেকে বের করে আনা হচ্ছে মানুষকে। বাইরে দাঁড়িয়ে অনেকেই স্বজনকে ফিরে পাওয়ার আশায় রয়েছেন। রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে এলাকার পর এলাকা।

ক্যাথিড্রালের ছাদ ভেঙে পড়েছে, বাড়ির চারদিকের দেওয়াল ধসে গিয়েছে, জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা জব জোসেফ। হাইতির পশ্চিমপ্রান্তে থাকা জেরেমি শহরের চেহারাও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। লেস কেস শহরে বহুতল হোটেল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। হাইতির প্রধানমন্ত্রী  অ্যারিয়েল হেনরি জানিয়েছেন, ‘‘সব ধরনের সাহায্যকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ ভূমিকম্পের পরই ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে সমুদ্রের ঢেউ ১০ ফিট পর্যন্ত উঠতে পারে। ২০১০-এ ৭.০ তীব্রতায় পোর্ট-অ-প্রিন্সে ২ লাখের উপর মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ৩ লাখের উপর মানুষ আহত হয়েছিলেন। সেই স্মৃতি আবার ফিরে এসেছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)