অন-লাইনে অর্ডার দিয়েছিলেন হেলথ সাপ্লিমেন্ট, বাক্স থেকে বেরল মরা কুমিরের বাচ্চা

অন-লাইনে অর্ডার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অন-লাইনে অর্ডার দিয়েছেন? যতক্ষণ না সেই অর্ডার হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ একটা টেনশন তো কাজ করেই। প্যাকেটটা খুলে দেখলে তবেই শান্তি। অল-লাইন শপিংয়ের জগতে এমনটা মাঝে মাঝেই শোনা যায়। দিয়েছিলেন এক জিনিস অর্ডার হাতে পেলেন অন্য। বা কখনও সমস্যা হয় সাইজের বা কখনও কোয়ালিটির। দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু এ বার যা ঘটল সেটা শুনে চমকটা কোথায় পৌঁছতে পারে আপনি নিজেও জানেন না। অল-লাইন শপিংয়ের জগতে এমনটা মনে হয় অতীতে কখনও হয়নি। যা ঘটল চিনে। অর্ডার দিয়েছিলেন ‘হেলথ সাপ্লিমেন্ট’। আর কী পেলেন তিনি? এই মুহূর্তে সেটাই সব থেকে বড় চর্চার বিষয়।

চিনের সুইচাংয় যেখানে থাকেন ঝাং। ঝেজিয়াং অঞ্চলের বাসিন্দা। অন-লাইনে ভেবেছিলেন কাজ কম হবে। তাই অর্ডার দিয়েছিলেন ‘হেলথ সাপ্লিমেন্ট’। সময় মতো তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গেল সেই প্যাকেটও। চারটির মধ্যে তিনটি বাক্স স্বাভাবিকই ছিল। কিন্তু চতুর্থ বাক্সটি দেখে একটু অন্যরকম মনে হয়েছিল ঝাংয়ের। একটা দুর্গন্ধও নাকে আসে তাঁর। ভয়ে ভয়েই খুলেছিলেন সেই বক্সটি। তার পর তো তার সংজ্ঞা হারানোর মতো অবস্থা। সেই চতুর্থ বক্সে তিনি দেখতে পান একটি মৃত কুমিরের বাচ্চা।

কেরলে বন্যা পরিস্থিতি প্রতি দিন একটু একটু করে আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে

চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে সেই মহিলা ও তাঁর স্বামী পুলিশকে খবর দেন। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে এটি সিয়ামিস ক্রোকোডাইল। ব্রিডিং ফার্ম থেকে নিয়ে আসা কুমিরের বাচ্চা। যার গায়ে ট্যাগও রয়েছে। সেই কোড ধরেই পুলিশ খুঁজে বের করে কোথা থেকে এটি এল। চিনে কুমির প্রজনন আইনসিদ্ধ। এই ধরের কুমিরের প্রজনন হয়ে খাওয়ার জন্য আর তার চামরার জন্য।

এর পর জানা যায় সেই অন-লাইন সংস্থা যে কুরিয়র সংস্থাকে দিয়ে অর্ডার ডেলিভারি করিয়েছিল তারাই ভুল ঠিকানায় ভুল জিনিস পৌঁছে দিয়েছে। যখন অর্ডার প্যাক করা হয়েছিল তখন জীবিত ছিল কুমিরের বাচ্চাগুলো। কিন্তু অতক্ষণ বাক্স বন্দি থাকায় মৃত্যু হয়েছে তাদের। সঠিক সময়ে সঠিক ঠিকানায় পৌঁছলে হয়ত বেঁচে থাকত কুমিরের বাচ্চাগুলো। তবে ঝাংয়ের জন্য এটা একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতাই বটে।

এর পর থেকে আতঙ্কে থাকবে অন-লাইনে অর্ডার দেওয়ার পর। কিসের বদলে যে কী বেরবে কে বলতে পারে!