ইমরানের দলের প্রাক্তন পাক এমএলএ বলদেব কুমার রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন ভারতে

ইমরানের দলের প্রাক্তন পাক এমএলএ বলদেব কুমারইমরানের দলের প্রাক্তন পাক এমএলএ বলদেব কুমার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইমরানের দলের প্রাক্তন পাক এমএলএ বলদেব কুমার বর্তমানে সপরিবারে ভারতে রয়েছেন। পঞ্জাবের খন্না শহরের শ্বশুরবাড়িতে তিনি বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর স্ত্রী ভাবনা এবং দুই সন্তানকে নিয়ে রয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি ভারতের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য অনুরোধ করেছেন।

বলদেবের দাবি, পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দু এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। তাঁরা মোটেও ভাল নেই। সে দেশে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বলদেব। সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘পাকিস্তানে রোজ সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখদের হত্যা করা হচ্ছে।’’

এই সংক্রান্ত  আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বলদেবের অভিযোগ, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বারিকোট এলাকার বিধায়ক ছিলেন বলদেব। ২০১৬ সালে এক এমপিএ খুনের ঘটনায় মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দু’বছর জেলে বন্দি করে রাখা হয়। ২০১৮ সালে সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাঁকে।

একই সঙ্গে বলদেব জানান, আর পাকিস্তানে ফিরে যেতে চান না তিনি। বলদেবের কথায়, ‘‘আমি সম্পূর্ণ সচেতন ভাবেই এ দেশে এসেছি। মোদী সাহেবকে (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) অনুরোধ করছি, আমাকে এ দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়া হোক।’’

বছর তেতাল্লিশের বলদেব এক জন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ। তিনি বলেন, ‘‘আমার ভাইরা পাকিস্তানে রয়েছে। অনেক হিন্দু এবং শিখ পরিবার এ দেশে চলে আসতে চায়। ও দেশে গুরুদ্বারগুলির অবস্থাও বেশ খারাপ। সংখ্যালঘুদের কেউই সম্মান করে না। জোর করে ধর্মান্তরণ করার ঘটনা প্রতি দিন বাড়ছে। এ সব তো হওয়া উচিত নয়। এক শিখ বালিকাকে মুসলমান ধর্মে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ সম্প্রতি সামনে এসেছে।’’

তাঁর দাবি, ইমরান খানের কাছে তাঁদের অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু ভোটে জেতার পর ইমরান প্রভূত পাল্টে গিয়েছেন বলেই অভিযোগ বলদেবের।
বলদেবের দাবি, তিনি এ দেশে ঈদের সময়ে সপরিবারে এসেছেন। আর ফিরে যেতে চান না পাকিস্তানে।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

‘‘আমার ভাইরা পাকিস্তানে রয়েছে। অনেক হিন্দু এবং শিখ পরিবার এ দেশে চলে আসতে চায়। ও দেশে গুরুদ্বারগুলির অবস্থাও বেশ খারাপ। সংখ্যালঘুদের কেউই সম্মান করে না। জোর করে ধর্মান্তরণ করার ঘটনা প্রতি দিন বাড়ছে। এ সব তো হওয়া উচিত নয়। এক শিখ বালিকাকে মুসলমান ধর্মে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ সম্প্রতি সামনে এসেছে।’’