থাই ফুটবল দলের এখনই মুক্তি নেই ওই গুহা থেকে 

থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধারগুহার মধ্যে ফুটবল দল। ছবি: টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: থাই ফুটবল দলের দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে ১২ দিন। ১২ জনের ফুটবল দল কোচ নেমেছিলেন অ্যাডভেঞ্চারে। পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তর থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং কেভ কমপ্লেক্সে। দল নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন গুহার ভিতর। কিন্তু তার পর থেকে আর তাদের খবর পাওয়া যায়নি। প্রবল বৃষ্টিতে গুহার ভিতরে তাদের খোঁজও নিতে পারেনি প্রশাসন। যখন সবাই আশা ছেড়ে দিচ্ছে তখন চমক দিল ওই একদল কচিকাচা ফুটবলার।

হরপা বানে ভেস গিয়েছে পুরো গুহার ভিতর। কিন্তু কোচসহ পুরো দল বেঁচে রয়েছে। একটি উঁচু পাথরের উপর আশ্রয় নিয়েছে তারা। এতদিন সেই জল খেয়েই বেঁচে রয়েছে ওরা। রেসকিউ দলকে ভিতরে পাঠানে হলেও কাউকে বের করে আনা যায়নি। কারণ গুহার ভিতরে রয়েছে বুক সমান জল, কাঁদা। যেখান দিয়ে ওই বাচ্চাদের বের করে আনা সম্ভব নয়। সাঁতরে অতটা রাস্তা পার করার ক্ষমতা এই মুহূর্তে নেই ওদের। সবাই শারীরিকভাবে বিদ্ধস্ত। ওদের জন্য জল, খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চেষ্টা করা হয়েছিল ফোনের ব্যবস্থার করারও কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।

যতক্ষণ না বৃষ্টি কমে গুহার ভিতরের জল সরছে ততক্ষণ ওই গুহার মধ্যেই আটকে থাকতে হবে ফুটবল দলকে। ততদিন ওদের বাঁচিয়ে রাখার ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। চেষ্টা করা হয়েছিল পাম্প করে জল বের করার। কিন্তু এক ঘণ্টায় মাত্র এক সেন্টিমিটারই জল কমানো গিয়েছে। শুক্রবার থেকে আবার প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই সময় পুরো থাইল্যান্ড জুড়ে বৃষ্টি চলে প্রায় একমাস। সেটাই এখন ভাবাচ্ছে সবাইকে।

প্রেমিকার বাবার কাছে ভালবাসার প্রমাণ দিতে হবে

সকলের পরিবারের কাছে স্বস্তি বেঁচে রয়েছেন তারা। কিন্তু সুস্থ শরীরে না ফেরা পর্যন্ত কেউ দু’চোখের পাতা এক করতে পারছে না। গুহার মুখ থেকে ২.৪ মাইল দুরে রয়েছে দল। যেখানে জল-কাদা ভেঙে পৌঁছতে সময় লেগেছে ছ’ঘণ্টা। সমস্যা আরও দেখা দিয়েছে ১১-১৬ বছরের এই ছেলেদের অনেকেই সাঁতার জানে না। সাঁতার জানলেই হবে না, জানতে ডাইভিং। কিন্তু সেটা এদের কেউ জানে না। খোঁজ পাওয়ার পর তিনদিন ধরে থাই নেভি সেই প্রশিক্ষণই দিচ্ছে ওই দলকে।

গুহার ভিতরে ওই ফুটবল দলের ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে থাই প্রশাসন। নানা নতুন নতুন পদ্ধতির কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু কোনওটাই এখনও সফলভাবে প্রয়োগ করা যায়নি। থাইল্যান্ড বৃষ্টি চলে তিন-চার মাস। অতদিন ওই গুহায় আটকে থাকলে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে দলের অনেকেই। সেটাও ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে।