পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধান এ বার আফগানিস্তানে, জল্পনা তুঙ্গে

পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধান এ বার আফগানিস্তানে। সে দেশে তালিবান সরকার গঠনের জল্পনার মধ্যেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই প্রধান হামিদ ফায়েজ আফগানিস্তানে পৌঁছনোয় জোরদার জল্পনা শুরু হয়েছে। শনিবারই তিনি কাবুল পৌঁছেছেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। গত ৩১ অগস্ট আফগানিস্তানের মাটি ছেড়ে চলে গিয়েছে আমেরিকার সেনা। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে আফগানিস্তান। ধীরে ধীরে তালিবান দখল করে নেয় রাজধানী কাবুলও। এর পর জোরদার জল্পনা তৈরি হয় সে দেশে নতুন সরকার গঠন করবে তালিবান।

সেই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তান মুখ্য কারিগর বলেও অভিযোগ ওঠে বিশ্বের একাংশ থেকে। আন্তর্জাতির রাজনীতির কারবারীদের একাংশের ধারণা, তালিবানের কাবুল দখল এবং নয়া সরকার গঠন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ওই অংশের দাবি, হক্কানি গোষ্ঠীকে তালিবান সরকারে জায়গা করে দিতেই আফগানিস্তানে গিয়েছেন আইএসআই প্রধান।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আশরফ গনি আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর পর সে দেশে নতুন সরকার এখনও গঠিত হয়নি। তার আগেই তালিবানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে। তালিবানের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখার মধ্যেও গন্ডগোল প্রকাশ্যে এসেছে। মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়া নিয়ে হক্কানি গোষ্ঠী এবং কন্দহরের মোল্লা ইয়াকুব গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এই ইয়াকুব গোষ্ঠীই তালিবানের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে রয়েছে। ইয়াকুব নাকি স্পষ্ট জানিয়েও দিয়েছেন, যাঁরা দোহায় তাঁদের প্রধান কার্যালয়ে বসে আছেন, তাঁদের হুকুম শুনতেও তিনি রাজি নন। অন্য দিকে, হক্কানি গোষ্ঠী সেখানে নিজেদের প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে এবং এই বিষয়ে আইএসআই তাদের সাহায্য করছে বলে অভিযোগ।

অন্য দিকে, ভারত আজ জানিয়েছে, আলোচনার দরজা খুললেও তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে ধীরে চলো নীতি নেওয়া হবে। শনিবার এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন ভারতীয় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তাঁর দাবি, কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে ভারতের কোনও সুদৃঢ় আলোচনা হয়নি। কাতারের রাজধানী দোহায় ভারতীয় দূতাবাসে গত মঙ্গলবার তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তল। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে আফগানিস্তানে আটকে থাকা ভারতীয়দের পাশাপাশি ভারতে আসতে ইচ্ছুক সে দেশের নাগরিক, বিশেষত সংখ্যালঘুদের নয়াদিল্লিতে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)