জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইথিওপিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা । ১৫৭ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের নাইরোবিগামী বিমান। আদিসআবাবা থেকে রবিবার সকালে নাইরোবির উদ্দেশে উড়েছিল বোয়িং ৭৩৭। কিন্তু ওড়ার ছ’মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমান। তাতে ১৪৯জন যাত্রী ছিলেন। ও আটজন বিমানকর্মী।বিমানের সব যাত্রীকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে। তার মধ্যে চারজন ভারতীয়ও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এই বিমানের ১৪৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩২টি দেশের মানুষ ছিলেন।ওড়ার পর ৬০ কিলোমিটারই গিয়েছিল বিমানটি। নাইরোবিতে ইউনাইটেড নেশনস এনভার্নমেন্ট প্রোগ্রামের দিনই ঘটে এই ঘটনা। তবে নিশ্চিত করে এখনও জানানো হয়নি এই বিমানে কোনও ডেলিগেটস ছিলেন কিনা।
নাইরোবির জোমো কেনিয়াতা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিজের বোনকে নিতে আসা পিটার কিমানি এএফপি বলেন, ‘‘আমি আশা করছি আমার বোন এই বিমানে ছিল না।’’
আফ্রিকার বৃহত্তম বিমান সংস্থা এটি। সকাল ৮:৩৮ মিনিটে উড়েছিল বিমানটি। নাইরোবিতে পৌঁছনোর কথা ছিল সকাল ১০:২৫ মিনিটে। কিন্তু একটি গ্রামের কাছে ভেঙে পড়ে বিমান। দুর্ঘটনার স্থলে এখড়ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিমানে থাকা সকলের জিনিস-পত্র, বিমানের ধ্বংসাবশেষ।
পাকিস্তানি ড্রোন ফের ঢুকে পড়ল ভারতীয় চৌহদ্দিতে, এ বার রাজস্থানের বিকানের
উদ্ধারকারী দল ধ্বংসাবশেষ থেকে দ্রুত সব দেহ বের করে আনার চেষ্টা করছে। ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স নিশ্চিত করেছে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। কেনিয়া বিমান বন্দে ভিড় জমিয়েছে সেই বিমানের যাত্রীদের আত্মীয়, বন্ধুরা।
চিনের এক অধিনবাসী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অফিসের সতীর্থর জন্য অপেক্ষা করছেন। এখনও আশা করছেন কিছু ভাল খবর আসবে।
বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমানে কানাডার ১৮ জন, ইথিওপিয়ার ন’জন এবং ইতালি, চিন ও ইউএসএ-র আটজন করে যাত্রী ছিলেন।ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সাতজন করে ছিলেন। ইজিপ্টের ছ’জন ছিলেন, নেদারল্যান্ডসের পাঁচ ও ভারতের চারজন ছিলেন এই ভেঙে পড়া বিমানে।
চারজনের কাছে ইউনাইটেড নেশনসের পাসপোর্ট ছিল। ১১জন ছিলেন আফ্রিকান কান্ট্রির এবং ১৩জন ছিলেন ইউরোপের।
The Office of the PM, on behalf of the Government and people of Ethiopia, would like to express it’s deepest condolences to the families of those that have lost their loved ones on Ethiopian Airlines Boeing 737 on regular scheduled flight to Nairobi, Kenya this morning.
— Office of the Prime Minister – Ethiopia (@PMEthiopia) March 10, 2019
জানা গিয়েছে এই বিমানটি ১৫ নভেম্বর ইথিওপিয়ায় এসেছিল। জোহানেসবার্গ থেকে রবিবার সকালেই নেমেছিল বিমানটি।তিন ঘণ্টা বিশ্রামের পর কোনও সমস্যা ছাড়াই আবার উড়েছিল।
সিইও গেব্রেমারিয়াম জানান, বিমান চালকের কোনও সমস্যা হচ্ছিল ও ফিরতে চেয়েছিল। ফেরার জন্য সবুজ সঙ্কেতও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।এই বিমানটি অনেকটাই ইন্দোনেশিয়ান লায়ন এয়ার জেটের ধাঁচেরই যা গত ১৩ অক্টোবর জাকার্তা থেকে ওড়ার পড়েই ১৮৯ জন যাত্রীকে নিয়ে ভেঙে পড়েছিল।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সে এর আগের সব থেকে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে লেবাননে। যেখানে ৮৩ জনা যাত্রী ও সাত জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল।
এর মধ্যেই একজনের পরিবারের জন্য সুখবর এল। সকাল ১০টায় নাইরোবি বিমান বন্দরে ছেলেকে নিতে হাজির হওয়া এক ব্যাক্তি জানতে পারেন যেই বিমানে তাঁর ছেলের আসার কথা ছিল তা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর ছেলের ফোন পান যে এই বিমানে তিনি আসছেন না পরের বিমানের অপেক্ষায় রয়েছেন।
(বিশ্বের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)