স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ, প্রকাশিত হল ত্রিভাষার পত্রিকা ‘লিখন’

স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণস্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ, ৪ থেকে ৬ অক্টোবর, ২০১৯ স্টকহোমের উপকণ্ঠে Kungsängen প্রাঙ্গণে ওই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতার কুমোরটুলি থেকে গ্লাস ফাইবারের মূর্তি আনা হয়েছিল।

তিন দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানে শাস্ত্রীয় প্রথায় ও বাংলার প্রচলিত সংস্কারে দেবীর আরাধনা করা হয়। পুজোর পুরোহিত বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী ভক্তি ও শ্রদ্ধা সহকারে মাতৃবন্দনা করেন এবং মায়ের অকালবোধনের বৃত্তান্ত উপস্থিত ভক্তগণের কাছে ব্যাখ্যা করেন।

আরও খবর পেতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ

স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ

পুজোর তিন দিন উপস্থিত সকলকে প্রসাদ, মধ্যাহ্ন ও নৈশভোজে আপ্যায়িত করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি খাবার পসরা নিয়ে বাঙালির রসনা তৃপ্তি করেন।

পুজোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রথম দু’দিন সমস্ত বয়সের ছোট থেকে বড়রা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রদেশের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। এ ছাড়াও এসএসপিসি র পরিচালনায় হাসির নাটক মহাদেবের স্টকহোম ভ্রমণ দর্শকদের আনন্দ দান করে। আর একটি উল্লেখযোগ্য, ৮-১০ জনের তবলা যুগলবন্দি দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

পুজো উপলক্ষে বাৎসরিক পত্রিকা ‘লিখন’ প্রকাশিত হয়। এটি বাংলা, ইংরেজি ও সুইডিশ— তিনটি ভাষায় সম্বৃদ্ধ।

আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে স্টকহমস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রধান সন্ধিপুজোর সময় উপস্থিত থেকে উৎসাহ দান করেন ও বক্তব্য রাখেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে বহু চেষ্টা সত্ত্বেও যোগাযোগ করা যায়নি।

স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ

স্টকহোম সর্বজনীন দুর্গাপুজোর এ বার সাতে পদার্পণ

আর একটি বিষয় উল্লেখের দাবি রাখে, এসএসপিসি প্রতি বছরই তাদের খরচ বাঁচিয়ে দুস্থদের সেবায় দান করে। এ বছরও এসএসপিসি পশ্চিমবাংলার এক সংস্থা ‘প্রত্যাশা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’কে দুঃস্থদের সাহায্য প্রদানের জন্য কিছু অনুদান দান করে। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে বেশ কিছু পরিবার এই দান থেকে উপকৃত হন। এসএসপিসি এ বছরও প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ভারত যোজনাতে অংশগ্রহণের অভিপ্রায় রেখেছে।

এই পূজাটির সমস্ত খরচ খরচা এসএসপিসির সদস্যরা এবং আগত ভক্তগণের সাহায্যে চলে কোন সরকারি সাহায্য ছাড়াই যেটি একটি ব্যতিক্রম।

তথ্য: প্রিয়রঞ্জন ভকত
ছবি: ইন্দ্রনীল সিংহ

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)