কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে আমেরিকা যাওয়া যাবে নভেম্বর থেকেই

কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে আমেরিকা যাওয়া যাবে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে আমেরিকা যাওয়া যাবে নভেম্বর থেকেই, মঙ্গলবার এই মর্মে জানিয়ে দিল জো বাইডেনের সরকার। ফলে কোভিশিল্ড নেওয়া থাকলে আমেরিকা যাওয়া যাবে, আশায় ভারতীয়রা। তবে সে ক্ষেত্রে কোভিশিল্ডের দু’টি ডোজই নেওয়া থাকতে হবে। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, কোভিশিল্ড-সহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তালিকাভুক্ত টিকার সব ক’টি ডোজ নেওয়া থাকলে আগামী নভেম্বর থেকে অন্য দেশের বিমানযাত্রীদের ঢুকতে দেওয়া হবে আমেরিকায়। আপাতত ৩৩টি দেশকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি-সহ ভারতও রয়েছে। ফলে এ দেশে টিকা নেওয়া সত্ত্বেও এত দিন যাঁরা আমেরিকা যেতে পারচিলেন না, তাঁরা এ বার যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন।

হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গিয়েছে, এফডিএ এবং হু-এর তালিকাভুক্ত টিকা নেওয়া থাকলে ওই ৩৩টি দেশের নাগরিককে আমেরিকা প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত হু-এর তালিকায় মডার্না, ফাইজার-বায়োএনটেক, জনসন অ্যান্ড জনসন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, চিনের সাইনোফার্ম এবং ভারতের কোভিশিল্ড রয়েছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যে সব বিদেশি আমেরিকায় আসতে চান ভিসা নেওয়ার সময়ে তাঁদের করোনা টিকার নির্ধারিত ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, আমেরিকায় বিমান থেকে নামার পর ওই যাত্রীদের কোনও ভাবেই কোয়রান্টিনে থাকতে হবে না।

কোভিশিল্ড ছাড়পত্র পেলেও এখনও আমেরিকায় অনুমোদন পায়নি কোভ্যাক্সিন। তবে সূত্রের খবর, আগামী মাস অর্থাৎ অক্টোবরেই হু-র অনুমোদন পেতে পারে ওই টিকা। ভারতে তৈরি দু’টি টিকার মধ্যে কোভিশিল্ড মান্যতা দিয়েছিল হু। তবে কোভিশিল্ড সম্পূর্ণ ভারতের তৈরি নয়। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি। অন্য দিকে কোভ্যাক্সিন ভারতের গবেষণাগারে তৈরি করেছেন এ দেশের বিজ্ঞানীরাই। কোভ্যাক্সিনের বাজারমূল্য কোভিশিল্ডের প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু এখনও হু-র অনুমোদিত টিকার তালিকায় এর নাম নেই। ফলে এ দেশে স্বীকৃতি পেলেও কোভ্যাক্সিন টিকা নেওয়ার পরে এখনও আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে যাওয়ার অনুমোদন মিলছে না। ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়ছিলেন।

কোভ্যাক্সিন নিয়ে হু-র থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যেই হু-র কাছে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছে হায়দরাবাদের ওই সংস্থা। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করে সম্প্রতি ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল, করোনার উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে তা কার্যকরী ৯৩.৪ শতাংশ। ডেল্টা রূপের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ প্রতিরোধী বলেও দাবি করে ভারত বায়োটেক।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)