কুম্ভমেলা থেকে ফিরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রাজা-রানি

কুম্ভমেলা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কুম্ভমেলা থেকে করোনা নিয়ে নিজের দেশে ফিরলেন তিনিও। তিনি নেপালের  প্রাক্তন রাজা জ্ঞানেন্দ্র শাহ এবং রানি কোমল। কুম্ভমেলা থেকে করোনা এবার পৌঁছে গেল দেশের বাইরেও। নেপালে এখন আর রাজপাট নেই। তবে রাজা-রানি রয়ে গিয়েছেন অন্তরালে আর সাধারণ মানুষদের থেকে একটু অন্যরকমভাবেই। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরাই রাজা। যদিও সে দেশে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে ২০০৮ সালে। কিন্তু মানুষ যে আজও এই রাজ পরিবারকে ভালবাসে তা প্রমানিত।

১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া কুম্ভমেলা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রচুর সমালোচনা চলছে। তবে যতক্ষণে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কুম্ভমেলা চত্তরেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড। তার পর সেখান থেকে কোভিড সঙ্গে করে সব ফিরেছেন যে যাঁর বাড়িতে। সেই তালিকায় রয়েছে নেপালের রাজা-রানি।

ফেরার দিন বিমান বন্দরে তাঁদের স্বাগত জানাতে হাজির হয়েছিল প্রচুর মানুষ। মঙ্গলবার রাজা-রানির কোভিড পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসায় দেশের প্রশাসনে চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। যে শ’খানেক মানুষ সেদিন তাঁদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত হয়েছিল এবার সেই মানুষগুলোকে খুঁজে বের করা একটা বড় মাথা ব্যথার কারণ। যদি তাঁরা নিজেরা সামনে এসে করোনা পরীক্ষা করান তাহলে দেশের স্বার্থে ভাল বলেই মনে করছে সেখানকার প্রশাসন।

দু’জনেরই বয়স ৭০-এর উপর। যা একটা আতঙ্কেরও কারণ। দু’জনে ওই ভিড়ের মধ্যে গঙ্গাস্নানও করেছেন। তাঁদের জন্য জমকালো অনুষ্ঠানও করা হয় ফেরার পর। সেই অনুষ্ঠানেও অনেকে তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।

নেপালের রাজবাড়ি বার বার বিভিন্ন কারমে শিরোনামে উঠে এসেছে। ২০০১-এ এই বাড়িরই ছেলে দীপেন্দ্র রাজপ্রাসাদের মধ্য হত্যালীলা চালান। যাতে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর পিতা, সেই সময় তিনি রাজার আসনে ছিলেন বীরেন্দ্রসহ তাঁর পারিষদের অনেকের। তার পর আত্মহত্যা করেন দীপেন্দ্র। তখন রাজার আসনে বসেছিলেন জ্ঞানেন্দ্র। তিনি বীরেন্দ্রর ভাই। কঠিন সময়ে দেশের দায়িত্ব উঠেছিল তাঁর কাঁধে।

তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০০৮-এ শুরু হয় গনতন্ত্রের জন্য দেশ জুড়ে বিদ্রোহ। তখনই চাপের মুখে রাজপাট ত্যাগ করতে হয় তাঁকে। তবে রাজার ঠাটবাট সবই এখনও রয়েছে। এখনও নেপালের একটা অংশের কাছে রাজবাড়ির গুরুত্ব আগের মতই।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)