কাবুলে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তানের দূত, বৈঠক তালিবান সরকারের সঙ্গে

কাবুলে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তানের দূতকাবুলে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তানের দূত

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুলে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তানের দূত, তাঁরা বৈঠক করলেন অন্তবর্তী তালিবান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। একই সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন আফগান নেতা হামিদ কারজাই এবং আবদুল্লা আবদুল্লাও। হামিদ আফগানিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁদের সঙ্গে সম্মিলিত ভাবে কাবুলে চিন-রাশিয়া-পাকিস্তানের দূত বৈঠক করেন। সম্পূর্ণ সরকার গঠনের বিষয়ে ওই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। পাশাপাশি সন্ত্রাসকে প্রতিহত করা এবং মানবিক ভাবে পরিস্থিতি সানমলানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে চিনের এক সরকারি আধিকারিক বুধবার জানিয়েছেন।

চিন, রাশিয়া এবং পাকিস্তানে তিন রাষ্ট্রদূত কথা বলেছেন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ হাসান আখুন্দ, বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুতাকি, অর্থমন্ত্রী এবং সরকারের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই খবর বুধবার জানিয়েছেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই দূতেরা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আগের সরকারের ‘কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন’ প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা আবদুল্লার সঙ্গেও বৈঠক করেন। কাবুলের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়া এবং আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা চলে যাওয়া সত্ত্বেও হামিদ এবং আবদুল্লা সে দেশে রয়ে গিয়েছিলেন। এবং তার পর এটাই সম্ভবত প্রথম কোনও বিদেশি কূটনীতিকের দল তাঁদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলার পাশাপাশি আলোচনাও করল।

যে দিন এই বৈঠক কাবুলে হচ্ছে, সেই দিনই ঘটনাচক্রে তালিবানের তরফে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আফগানিস্তানের নতুন অ্যাম্বাসাডর নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁর নাম সুহেল শাহীন। পাশাপাশি তালিবানের তরফে গুতেরেসের কাছে দাবি জানানো হয়েছে, নিউ ইয়র্কে হতে চলা রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৬তম জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে আফগানিস্তানকে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি তাদের কথা বলতে দেওয়া হোক।

রাশিয়া, পাকিস্তান এবং চিন— যারা তালিবানের কাবুল দখলের ঘটনায় মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল, তাদের সঙ্গে আফগানিস্তান সমন্বয় রেখেই কাজ করছে। পাশাপাশি তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে। ওই তালিকায় যেমন চিন, পাকিস্তান এবং রাশিয়া রয়েছে তেমনই রয়েছে ইরান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান। এই সব ক’টি দেশের সঙ্গেই আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। অর্থাৎ প্রত্যেকটিই প্রতিবেশী দেশ। এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা গত ৭ সেপ্টেম্বর একটি ভার্চুয়াল বৈঠকও করেছেন।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)