কানাডার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, মারা গেলেন প্রায় ৫০০ জন

কানাডার তাপমাত্রা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কানাডার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে, তাপপ্রবাহের জেরে প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ৪৮৬ জন মানুষ মারা গিয়েছেন শুধুমাত্র তাপপ্রবাহের কারণেই। সে দেশের রেকর্ড বলছে, এই ক’দিনে এমনিতে স্বাভাবিক সময় হলে গড়ে ১৬৫ জন মারা যান। সেই সংখ্যা প্রায় তিন গুণ চাড়িয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এখনও তাপপ্রবাহ কমার কোনও লক্ষণ নেই।

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেল, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরেই শীতল আবহাওয়ার দেশ কানাডা টেক্কা দিচ্ছে কোনও মরুশহরের তাপমাত্রাকেও। কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে তাপমাত্রার পারদ। ভ্যাঙ্কুভারেও অন্তত ৬৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। তাপমাত্রার কারণে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দাবানলও ছড়িয়ে পড়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

ভ্যাঙ্কুভারে অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে গত ৪৮ ঘণ্টায়। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক। বাকিদের কোনও না কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বুধবারও ভ্যাঙ্কুভারের পাশাপাশি লিটন, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া-সহ একাধিক জায়গার তাপমাত্রা ছিল ৪৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে কানাডায় এমন তাপমাত্রা বৃদ্ধি কবে হয়েছে, তেমন ভাবে মনে পড়ছে না কারও। শেষ কবে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ধাপ পেরিয়েছে তামপাত্রা, বয়স্করাও মনে করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল তা-ও কয়েক দশক আগে। তবে আগামী কয়েক দিনে এই তাপমাত্রা নামার কোনও আভাস নেই বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং আলবার্টার পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা এবং ইউকনের বহু জায়গায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা।

তবে এই তাপমাত্রা হঠাৎ করে বাড়তে থাকায় কোনও রকমের প্রস্তুতি ছিল না কারওরই। এমন সঙ্কটের মুখে পড়তে হবে ভাবেনি সেখানকার সরকার বা প্রশাসনও। ফলে তাপপ্রবাহের কারণে সমস্যা আরও বেড়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে একাধিক কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলগুলিও।

যদিও ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রিমিয়ার জন হোরগান জানিয়েছেন, মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি যে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই, তা ঠিক নয়। তবে একসঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা এতটা বেড়ে যাওয়ার কারণ যে তাপমাত্রা বৃদ্ধিই একটা বড় কারণ, তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাঁর কথায়, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এই সঙ্কট যে ঘোর বাস্তব, তা গত কয়েক দিন ধরে টের পাচ্ছেন কানাডা এবং আমেরিকার মানুষ।’’

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)