c-17 aircraft আবারও ৬০০ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনল দেশে  

c-17 aircraft

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: c-17 aircraft আবারও ৬০০ ভারতীয়কে ইউক্রেন থেকে ফিরিয়ে আনল দেশে। ফিরিয়ে আনার নায়ক ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ সি-১৭ বিমান।

ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য ‘অপারেশন গঙ্গা’ প্রকল্প শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া এবং পোলান্ডের উদ্দেশে উড়ে যায় তিনটি সি-১৭ বিমান। সঙ্গে নিয়ে যায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের জন্য সাড়ে ১৬ টন ত্রাণও। এই নিয়ে ইউক্রেন এবং এর প্রতিবেশী দেশগুলিতে মোট ২৬ টন ত্রাণ পাঠিয়েছে ভারত। এখনও অবধি ভারতীয় বায়ুসেনার ১০টি বিমান মোট দু’হাজার ৫৬ জন আটকে থাকা ভারতীয়কে নিরাপদে ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম বায়ুসেনার একটি বিমান ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে উড়ে গিয়েছিল। সে বার ২১৯ জনকে নিয়ে মুম্বইয়ে অবতরণ করে সি-১৭।

তবে ইউক্রেনের বিপর্যস্ত রাজধানী কিভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই বলেই মঙ্গলবার জানিয়েছিল কেন্দ্র। কিভ-মস্কোর যুদ্ধের কারণে ইতিমধ্যেই প্রাণ গিয়েছে এক ভারতীয় পড়ুয়ার। রুশ হামলার মুখে পড়ে প্রাণ হারান কর্নাটকের বাসিন্দা এই মেডিক্যাল পড়ুয়া। মঙ্গলবার খারকিভে বোমা বিস্ফোরণের ফলে এই ভারতীয় পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। তিনি উত্তর কর্নাটকের বাসিন্দা। নিহত পড়ুয়ার নাম নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধর। নবীন মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই মুহূর্তেই ওই জায়গায় আছড়ে পড়ে রুশ বোমা। এর ফলে তাঁর মৃত্যু হয়।

রবিবার রাতে কিভে সেনাবাহিনীর গুলিতে একাধিক বার গুলিবিদ্ধ হন আর এক ভারতীয় পড়ুয়া হরজ্যোৎ সিংহ। হরজ্যেৎ দিল্লির বাসিন্দা। তিনি এই মুহূর্তে কিভের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে সমস্ত ভারতীয়কে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানালেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখন লক্ষ্য, সুমি থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়া।’’

এর আগে এক টুইট বার্তায় সুমিতে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের ঘরের বাইরে বেরোতে নিষেধ করেন অরিন্দম। তিনি পড়ুয়াদের আশ্বস্ত করে লেখেন, ‘বিদেশ মন্ত্রক ও ভারতীয় দূতাবাস ওই পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার নিরাপদ করিডোর তৈরি দেওয়ার জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে।’

শনিবার এক সাক্ষাৎকারে অরিন্দম বলেন, ‘‘খারকিভে আর কোনও ভারতীয় আটকে নেই। এখন আমাদের নজর সুমির উপর। কিন্তু সেখানে বড় চ্যালেঞ্জ হল চলমান যুদ্ধ এবং যানবাহনের অভাব। আটকদের ফিরিয়ে আনতে গেলে সব চেয়ে ভাল বিকল্প হল যুদ্ধ বিরতি।’’

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)