বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ করা হল, পেট্রাপোলে বিক্ষোভ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দিল বাংলাদেশ। যাঁরা পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরার জন্য গিয়েছিলেন, তাঁরা সারাদিন সেখানেই আটকে থাকলেন। আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সীমান্তে আটকে থেকেও দেশে ফেরা হল না কয়েকশো বাংলাদেশের মানুষের। এঁদের প্রায় সকলেই মেডিক্যাল ভিসায় ভারতে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। দেশে ফিতে না পেরে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

সোমবার সন্ধের পর থেকেই পেট্রাপোল সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকরা বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। ভারতে গতিতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যার খবর ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। ভারতের কঠিন পরিস্থিতিতে প্রথমশ্রেনীর দেশগুলো পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে। ভারতের পরিস্থিতির খবর অজানা নয় প্রতিবেশি বাংলাদেশেরও।

বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্তে সংখ্যা বাড়ছে। সেটা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। সোমবার ঘোষণা করেই সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই দেশে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের ফেরার অপেক্ষা না করেই। যাতে বিপদে পড়েছেন প্রচুর মানুষ। জানানো হয়েছে ২৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সীমান্ত।

বাংলাদেশ থেকে ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে আসার সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার মানুষ অনেক বেশি। নিয়মিত সারা বছর বাংলাদেশ থেকে লোকেরা চিকিৎসার জন্য এদেশে আসেন। যাঁরা এদিন সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন, তাঁরা অনেক অনুরোধ করলেও তা শোনা হয়নি। তাঁদের অনেকই ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে এদিন। এই অবস্থায় রীতিমতো সমস্যায় মানুষগুলো।

তারা জানিয়েছে, চিকিৎসা করিয়ে ফিরছেন যার ফলে সব টাকা শেষ। শেষ হয়ে যাচ্ছে ভিসাও। দেশে ফিরতে না পারলে কোথায় থাকবে আর কী খাবে সবাই, সেটাই এখন বড় চিন্তার কারণ।  এখন বাংলাদেশে ফিরতে লাগবে দূতাবাসের নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে জোগার করা কঠিন। বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাঁদের অনুরোধ তাঁদের দেশে ফিরতে দেওয়া হোক।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)