চিনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে, নতুন করে শুরু হচ্ছে টিকাকরণ

চিনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চিনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছে গেল বুধবার। বাংলাদেশ চিনের সিনোফর্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উপহার হিসাবে পেল। তাতে রয়েছে ৫০০,০০০ ডোজ।  বাংলাদেশের টিকাকরণ যাতে সচল থাকে সে কারণেই এই উপহার। ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ঘাটতির জন্য বাংলাদেশে টিকা করণ সাময়িক থমকে গিয়েছিল। চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং চিন থেকে এই ভ্যাকসিন নিয়েধাকায় পৌঁছন। ঢাকায় বাংলাদেশ বিমান অবতরণ করার কয়েক ঘন্টা পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ একে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে এই ডেজ তুলে দেন।

মোমেন জানান, যে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিনা ভ্যাকসিনের ৪০ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডোজ সংগ্রহ করতে চায়। তিনি বাংলাদেশে চিনা ভ্যাকসিনের সহ-উৎপাদন ব্যবস্থারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন যে এটি উভয় দেশের জন্য “উইন-উইন” পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

“আমাদের এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতা রয়েছে এবং আমরা তাদের (চিনা) সহায়তায় এটি করতে পারি। তারা যদি রাজি হয় তবে আমরা সহযোগী হিসেবে যেতে পারি,” তিনি বলেন। মালেক জানান, বাণিজ্যিকভাবে এই ভ্যাকসিন কিনতে তার অফিস চিনকে চিঠি দিয়েছে।

চিনা রাষ্ট্রদূত লি বলেছেন এই উপহার চিন-বাংলাদেশ বিরোধী মহামারী সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ। যা আবার দেখায় যে “আমাদের জনগণ একই নৌকায় রয়েছে এবং আমরা এই যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত একে অপরের সঙ্গে দাঁড়াব”।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) জরুরী ব্যবহারের জন্য সিনোফর্ম ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত করার পরে এই ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সবুজ সঙ্কেত পেয়েই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মোমেনের মতে, ডাব্লুএইচও অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে চিনা ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিচ্ছুক ছিল, তবে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ এ মাসের গোড়ার দিকে রাশিয়ার স্পুটনিক ভ্যাকসিনের পাশাপাশি চিনা ভ্যাকসিনগুলিকেও অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেছিল।

স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদফতরের জেনারেল (ডিজিএইচএস) বলেন যে তারা প্রথম ডোজের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে সিনোফর্ম ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন। অস্ট্রফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া দ্বারা তৈরি ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ দেশব্যাপী টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করে। উপহার হিসাবে ভারত ভ্যাকসিনের ৩.২ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করে। তবে ভ্যাকসিনের কারণে রেজিস্ট্রেশন বন্দ করে দেওয়া হয়েছিল ৫ মে।

বাংলাদেশ ভ্যাকসিনের ৩০ মিলিয়ন ডোজ ক্রয় করেছে এবং একটি চুক্তির আওতায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দু’টি কনসাইনমেন্টে ৭ মিলিয়ন ডোজ পাওয়া গিয়েছে, তৃতীয়টি মার্চ মাসে পাওয়ার কথা ছিল যা এখনও পায়নি। যার ফলে টিকার অন্যান্য বিকল্পের সন্ধানে বাধ্য হচ্ছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)