Antarctica-র বরফে বিমানের অবতরণ, খুলবে পর্যটনের নতুন দিশা

Antarctica

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Antarctica -র বরফে নামল প্রথম বিমান। আন্টাকর্টিকা মানেই দুধ সাদা বরফের চাদরে ঢেকে থাকা বিস্তৃত প্রান্তর। কোথাও কোথাও সমু্দ্রের হাতছানি। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে আন্টার্কটিকার অনেকাংশেই কমেছে বরফর প্রভাব। তবুও এখনও বরফের আধিক্যই বেশি সর্বত্র। তার উপর বিমানের অবতরণ এক কথায় অসম্ভবই মনে হত এতদিন। কিন্তু সব অসম্ভবকে পিছনে ফেলে শেষ পর্যন্ত বরফের চাদরে নামল বিমান। যদিও সেটি বানিজ্যিক বিমান। তবে এই বিমানের অবতরণ খুলে দিতে পারে নতুন দিগন্ত। ভবিষ্যতে ট্যুরিজমের কাজেও ব্যবহার হতে পারে এই রাস্তা।

আন্টার্কটিকায় পৌঁছনো মোটেও সহজ বিষয় নয়। গবেষকরাই সেখানে পৌঁছতে পারেন তবে অনেক ঝক্কি পেড়িয়েই। কিন্তু যদি বিমান চলাচল সহজ হয়ে যায় তাহলে সরাসরি আন্টার্কটিকার বরফে গিয়ে নামতে পারবেন পর্যটকরা। এই পিচ্ছিল বরফে বিমান অবতরণ সহজ ছিল না। তবে বিমান চালক ক্যাপ্টেন কার্লোস মিরপুরী জানিয়েছেন, তিনি সফলভাবেই বিমানের অবতরণ ঘটিয়েছেন।

গত ২ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে উড়েছিল বিমানটি। আন্টার্কটিকা পৌঁছতে এই এয়ারবাসকে পাড়ি দিতে হয়েছে ৪,৬৩০ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রাস্তা পেরিয়ে বরফের উপর অবতরণ প্রথম সফল পদক্ষেপ হিসেবে আন্টার্কটিকার ইতিহাসে লেখা থাকবে। হাই ফ্লাইয়ের এই বিমান সংস্থার সঙ্গে যুগ্মভাবে এই লক্ষ্যকে সফল করেছে উলফস গ্যাং লাক্সারি অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প।

সফল এই অবতরণের পর শোনা যাচ্ছে দ্রুত ছোট একটি পর্যটক দলকে এই পথেই নিয়ে যাওয়া হবে। যে বিমানটি আন্টার্কটিকার বরফে অবতরণ করেছে তার ওজন ১৯০ টন। এমনিতে আন্টার্কটিকায় কোনও বিমান বন্দর নেই। সাঙ্কেতিক দাগের মাধ্যমে এলাকা নির্ধারিত করা হয়েছে। তার মধ্যেই বিমানের অবতরণ করতে হবে। একটু এদিক ওদিক হলেই বিপদের অশনি সঙ্কেত রয়েছে আন্টার্কটিকার সর্বত্র।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)