কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ হতেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে ভিড় বাড়ছে আফগানদের

আফগানদের তালিবান ভীতি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ হতেই প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে ভিড় বাড়ছে আফগানদের। এমনিতেই আফগানিস্থান একটি ভূমি-আবদ্ধ দেশ। ইরান, পাকিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার একাধিক দেশের সঙ্গে আফগান সীমান্ত রয়েছে। আমেরিকার সেনা আফগানিস্তান ছেড়ে যেতেই কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। এর পর থেকেই বিভিন্ন দেশের সীমান্ত এলাকায় ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। আকাশপথে দেশ ছাড়ার কোনও উপায় না দেখেই আফগানরা স্থলপথে দেশান্তরী হওয়ার আশায় সীমান্ত এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন।

খাইবার পাসের পূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সীমান্ত তোরখাম। সেখানে কর্মরত এক পাকিস্তানি আধিকারিক বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের দিকে প্রচুর মানুষ গেট খোলার অপেক্ষা করছেন।’’ হাজারখানের লোকজন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্ত ইসলামকোলায়।

গত ১৫ অগস্ট কাবুল তালিবানের হাতে চলে যাওয়ার পর প্রায় ১ লাখ ২৩ হাজারেরও বেশি লোককে আমেরিকার বিমানে করে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু হাজার হাজার আফগান নাগিরক এখনও বিপন্মুক্ত নন। রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর দাবি, চলতি বছর শেষের আগেই প্রায় ৫ লাখ আফগান তাঁদের স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে।

অন্য দিকে জার্মানি একাই একটা হিসাব করেছে। তাদের মতে, আফগানিস্তানের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ১০ থেকে ৪০ হাজার আফগান যদি নিজেদের বিপন্ন মনে করেন, তবে তাঁদের জার্মানিতে যাওয়ার অধিকার আছে। উজবেকিস্তানের সরকারও জানিয়েছে, জার্মানির তালিকায় থাকা আফগান নাগরিকদের জন্য তাদের আকাশপথ খোলা থাকবে। কিন্তু আফগানিস্তানের সঙ্গে তাদের স্থল সীমান্ত এখনও বন্ধ। কাতার বা তুর্কির সঙ্গে তালিবানদের কথাবার্তা চলছে। কী ভাবে কাবুল বিমানবন্দর ফের চালু করা যায়, সে ব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে এখনও আলোচনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আরও কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ এই কাজে লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিদেশি বাহিনীর জন্য কাজ করা সমস্ত আফগানকে ক্ষমা করে দেওয়া হল বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে তালিবান। তারা জানিয়েছে, ২০০১ সালের ৯/১১-র হামলার পর ওসামা বিন লাদেনকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলেছিল আমেরিকা। কিন্তু তা করতে অস্বীকার করে তারা। এর পরেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমেরিকা। এবং তাদের ক্ষমতাচ্যূত করে। সেই যুদ্ধে যে আফগানরা বিদেশি বাহিনীর হাত শক্ত করেছে, তাঁদের ক্ষমা করে দেওয়া হল।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)