আফগানিস্তানে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হচ্ছে শুক্রবার থেকেই

আফগানিস্তানে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। এতদিন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকাজ চলছিল। ৩১ অগস্ট আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা পুরোপুরি সরে যাওয়ার পর থেকে সেই কর্মকাণ্ডও আপাতত বন্ধ। এবার দেশের মধ্যেই বিমান চলাচল শুরু করার অনুমতি দিল তালিবানরা। এর আগে তালিবানরা আমেরিকার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিল, বিমান বন্দরে পরে থাকা সব বিমান অকেজ। তবে শেষ পর্যন্ত অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। দেশের সরকারি বিমান সংস্থা ‘আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্স’-এর তরফেই এই খবর জানানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিমান কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বা আফগানিস্তানের এয়ারস্পেস কবে অন্যান্য দেশ ব্যবহার করতে পারবে তা নিয়েও কোনও সঠিক বার্তা আপাতত নেই। এদিকে দেশে সরকার গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে তালিবানরা। তার পরও দেশে শান্তি ফিরবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা কবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সেটাও তাঁদের কাছে বড় প্রশ্ন। একটা বড় অংশ দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে আমেরিকা সেনা তুলে নেওয়ার পর আফগানিস্তান লাগোয়া বিভিন্ন দেশের সীমান্তে জমা হচ্ছে স্থানীয় মানুষরা বলেও জানা গিয়েছে।

আপাতত কাবুল বিমান বন্দরে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। রীতিমতো বিধ্বস্ত। দেখে মনে হচ্ছে বিমান বন্দরের ভিতরেই এক প্রস্থ যুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। যা খবর সেই বিমান বন্দরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে সেখানে পৌঁছেছে কাতারের থেকে বিশেষজ্ঞরা। তিন ভাগে সোমবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার তারা সেখানে পৌঁছয়। শুরু হয়ে বিমান বন্দরকে কাজে ফেরানোর কাজ। তবে কাবুলকে বাদ দিয়ে মাজার-ই-শরিফ ও কান্দাহার বিমান বন্দরের অবস্থা ভালই রয়েছে। সেখান থেকে বিমান চলাচল শুরু করা যেতে পারে বলেই জানানো হয়েছে।

আফগান বিমানের সিনিয়র ম্যানেজার তামিম আহমদি জানিয়েছেন, শুক্রবার অর্থাৎ আজ থেকেই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। তালিবানের তরফে এর জন্য সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গিয়েছে। তবে ‌জানা যাচ্ছে, বিমান বন্দর চালানো বা বিমান মেরামতি করার মতো কর্মী তাদের কাছে নেই। যে কারণে আমেরিকার উপর রীতিমতো বিরক্ত। কারণ কাবুল বিমান বন্দরে পড়ে থাকা সব বিমানই অকেজ। এবং তালিবানরা মনে করছে আমেরিকাই সেই সব অকেজ করে দিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩১ অগস্ট আফগানিস্তান ছাড়ার আগে মার্কিন সেনা ৭৩টি বিমানকে অকেজ করে দিয়েছে। যে কারণে কাবুল বিমান বন্দরের দখল নিয়েও তারা কিছু করতে পারছে না। আর যারা এতদিন বিমান বা বিমান বন্দর চালিয়ে এসেছেন তাঁরা সকল‌েই প্রায় দেশ ছেড়েছেন। বিদেশ থেকে কেউ গিয়ে ওখানে কাজ করার সাহস দেখাবে না। এই অবস্থায় দেশের বিমান বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব তারা দিতে চাইছে তুরস্ক ও কাতারকে। কাতার তাতে ইতিমধ্যেই সাড়া দিয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)