ঢাকা থেকে উড়েছিল বিমান, ভেঙে পড়ল কাঠমান্ডুতে

নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরের সেই ছবি।নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরের সেই ছবি।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে ইউ-এস বাংলার বিমানটি উড়েছিল কাঠমান্ডুর উদ্দেশে। ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল ককপিট থেকে, আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রান ওয়ে স্পর্শ করবে এই বিমান। গন্তব্যে পৌঁছনোর স্বসেতি তখন সকলেরই চোখে-মুখে। একটু আগে বিমানটি ওডা়র সময় যে অদ্ভুত ব্যবহার করছিল সেটার ভয় উধাও হয়েছে ততক্ষণে। কিন্তু হঠাৎই ঘটে গেল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। মাটি স্পর্শ করেও নিয়ন্ত্রণে থাকল না বিমানের গতি। যদিও রানওয়ের মাটি স্পর্শ করার আগেই এয়ারপোর্ট লাগোয়া এক ফুটবল মাঠে আছড়ে পড়ল বিমানটি। প্রচন্ড শব্দ করে আগুন ধরে গেল বিমানে।

এখনও পর্যন্ত যা খবর ৭৮ আসন বিশিষ্ট এই বিমানে ছিলেন ৭১ জন যাত্রী এবং বিমান কর্মীরা। তার মধ্যে ৫০ জনের ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। দুপুর ২.২০ মিনিটে ঘটে ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় উদ্ধার কাজ। নেপালের ট্যুর অপারেটর বসন্ত ভোরা বেঁচে গিয়েছেন প্রাণে। মান ফিরে পেয়ে সম্বিত ফিরতে সময় লেগেছে অনেকটা। বেঁচে আছেন এটাই ভাবতে অবাক লাগছে। বলছিলেন, ‘‘ভগবানকে ধন্যবাদ, আমি বেঁচে রয়েছি। ভাঙা জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। আশা করছি বেঁচে যাব।’’ তিনিই জানান, ভেঙে পড়ার আগে অদ্ভুত ব্যবহার করছিল বিমানটি।

স্থানীয় প্রশাসনের খবর৪০ মিনিটের এই বিমান যাত্রা। সকালেই উড়েছিল ঢাকা থেকে। এই পথ খুবই জনপ্রিয় সেই সব কর্মীদের মধ্যে যাঁরা আরবে কাজের জন্য যান। পুলিশের মুখপাত্র মনোজ নুপানে জানান, কম করে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২ জন আহত। যাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। বেশ কিছু দগ্ধ দেহও উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার কাজ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে।

সেই সময় কালো ধোয়ায় ঢেকে গিয়েছিল ত্রিভুবন বিমানবন্দর চত্বর। কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করেও দেওয়া হয় বিমানের ওঠা-নামা। জানা গিয়েছে, বিমানের নামার কথা ছিল উত্তর দিক দিয়ে। কিন্তু বিমানটি নামছিল দক্ষিণ দিক দিয়ে। এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা বিমান বন্দর সূত্রের খবর, বিমানটি দুপুর ২.৪০ পর্যন্ত তাদের এটিসির আওতায় ছিল। বিমানের চাকায় কোনও সমস্যা হয়েছিল বলও মনে করা হচ্ছে। যে কারণে সেটি পিছলে যায়। কিন্তু প্রশ্ন একটাই যদি চাকার সমস্যাই হয় তা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ল্যান্ড করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আগেই অবতরণ করে যায় একটি ফুটবল মাঠে। সেটা কী ভাবে হল।