আলজিরিয়া সেনার বিমান ভেঙে মৃত্যু ২৫৭ জনের

আলজিরিয়াআলজিরিয়া, ভেঙে পড়ল বিমান।

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মাঝ আকাশেই ভেঙে পড়ল আলজিরিয়া সেনার বিমান। ২৪৭ জন যাত্রী ও ১০ জন বিমান কর্মী নিয়ে উড়েছিল বিমান। বুধবার রাজধানী আলজিয়ার্সে এয়ারবেসের কাছেই ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বিমানটি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের খবর, বিমানে থাকা সকলেরই মৃত্যু হয়েছে।

অলিভ গাছের মধ্যে ভেঙে পড়া বিমানের পিছনের অংশ দেখা যাচ্ছিল। শ’খানেক অ্যাম্বুল্যান্স এলাকায় পৌঁছয়। পৌঁছে যায় দমকলের একাধির ইঞ্জিন।

বিমানে প্রায় সকলেই ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। রয়টার্স আরও জানিয়েছে, এঁরা সকলেই পশ্চিম সাহারা পোলিসাজিও ইনডিপেন্ডেন্স মুভমেন্টের কর্মী। বিমানটি ছিল ইলুশিন ২-৭৬। বিমানটি ভেঙে পড়ে অ্যালজিয়ার্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৫ কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় টেলভিশন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা।

বিদ্বজ্জন বাণে ফের বিদ্ধ তৃণমূল

অলিভ গাছের মধ্যে ভেঙে পড়া বিমানের পিছনের অংশ দেখা যাচ্ছিল। শ’খানেক অ্যাম্বুল্যান্স এলাকায় পৌঁছয়। পৌঁছে যায় দমকলের একাধির ইঞ্জিন।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কনস্টানটাইনের কাছে ভেঙে পড়েছিল আলজেরিয়ার সেনবাহিনীর বিমান। সে বার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

সেনাবাহিনীর এই বিমান যাচ্ছিল টিনডোফ এলাকায়। যেটা আলজেরিয়া-সাহারা সীমানা। সেখানে বেশ উত্তেজনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একই ভাবে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে কনস্টানটাইনের কাছে ভেঙে পড়েছিল আলজেরিয়ার সেনবাহিনীর বিমান। সে বার ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বছরই জুলাইয়ে এয়ার আলজেরির একটি যাত্রী বিমান উত্তর মালির কাছে ভেঙে পড়ে। ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই বিমানে ৫৪ জন ফরাসি নাগরিক ছিলেন। তাঁদের প্রত্যেকের মৃত্যু হয়।

২০১৪-র জুলাইয়ে এয়ার আলজেরির একটি যাত্রী বিমান উত্তর মালির কাছে ভেঙে পড়ে। ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

তবে এ বারের বিমানটি ঠিক কী কারণে ভেঙে পড়েছে তার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আলজেরিয়ার জন সুরক্ষা দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ আকুর জানিয়েছেন, বিমানটি রাজধানী আলজিয়ার্সের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ৩০ কিলোমিটার দূরে বুফারিক থেকে দক্ষিণ পশ্চিম আলজেরিয়ার বেচার অঞ্চলে যাচ্ছিল। বিমানটিতে সেনাকর্মীরা ছিলেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা বলা হয়নি। তবে মৃতদের পরিবারের লোকজনের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে। করা হয়েছে শোকপ্রকাশও। আকুরের কথায়, ‘‘ফলে মোট কত জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’’ তিনি জানিয়েছেন সামরিক আধিকারিক এবং প্রশাসনের কর্তারা সেখানে পৌঁছেছেন।