বেনারসের মতোই গঙ্গায় ভাসতে ভাসতে দেখুন গঙ্গা আরতি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গঙ্গা আরতি দেখতে কার না ভাল লাগে। যার জন্য দেশ বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান বারানসী বা হরিদ্বারে। বাঙালির কাছে তো বারানসী আর হরিদ্বার সর্বকালের প্রিয় ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন। কিন্তু সেটাই যদি পাওয়া যায় ঘরের পাশে গঙ্গার ঘাটে তাহলে তো কথাই নেই। হ্যাঁ, কলকাতায় বসেই এমনটা পাচ্ছেন আপনি। শুধু গঙ্গা আরতি নয় সঙ্গে পাচ্ছেন গঙ্গায় ভাসতে ভাসতে আরতি দেখার সুযোগ। সেই ব্যবস্থাই করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কয়েক মাস আগেই ঘটা করে বাবুঘাটে শুরু হয়েছে সন্ধ্যারতি।

প্রতিদিন সন্ধ্যেয় এখন আরতি হয় বাবুঘাটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই আরতি শুরু হওয়ার আগে থেকেই আরও ভাল মতো সেজে উঠেছে বাবুঘাট এবং ঘাটের আশপাশের রাস্তা। গঙ্গার পাড় ধরে হাঁটতে হাঁটতে পেরিয়ে যাওয়া যায় ইডেন, বাবুঘাট, প্রিন্সেপঘাট। এই পথে চলে লোকাল ট্রেনও। গঙ্গার ঘাট ধরেই একটার পর একটা স্টেশন পেরিয়ে কখনও উত্তর তো কখনও দক্ষিণে ছুটে চলে ট্রেন।

ট্রেন থেকেও চোখে পড়বে গঙ্গা আরতি যদি সময়টা ঠিক হয়। সব মিলে কলকাতার গঙ্গার পাড়ে পৌঁছলে পরিবেশটাই বদলে যায়। কে বলবে কয়েক হাতের মধ্যেই রয়েছে দ্রুত গতিতে ছুটে চলা শহর। আর সেই শহুরে পরিবেশকে আরও এক উপহার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে এবার ক্রুজ ভাসবে গঙ্গাবক্ষে এই ক্রুজ চলবে ১ ঘণ্টা। সেখানেও ভেসে পড়া যেতে পারে নিশ্চিন্তে। ১ ঘণ্টার এই ক্রুজে চাপতে দিতে হবে ১০০ টাকা। আপাতত শুধু শনি ও রবিবারই এই ক্রুজ চলবে। চাহিদা দেখে বাড়ানো হবে দিন।

গত ২ মার্চ বাজে কদমতলা ঘাটে উদ্বোধন হয় গঙ্গা আরতির। গঙ্গার পাড়ে তৈরি হয়েছে দশনার্থীদের বসার জায়গাও। ক্রুজটিও ছাড়বে বাজেকদমতলা ঘাট থেকে। আপাতত ঘাটে পৌঁছেই কাটতে হবে টিকিট। দ্রুত অনলাইন টিকিটেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজমের পক্ষ থেকে টুইট করে কলকাতাবাসী তথা কলকাতা ভ্রমণে আসা পর্যটকদের উদ্দেশে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। ক্রুজটির নাম এমভি চিত্রলেখা। সময় সন্ধে ৬-৭টা। কিন্তু সেখানে পৌঁছে যেতে হবে ১৫ মিনিট আগেই।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle