পর্যটন কেন্দ্রে কোভিড বিধি শিথিল করুন, ডিএমদের নির্দেশ নবান্নের

পর্যটন কেন্দ্রে কোভিড বিধি

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: পর্যটন কেন্দ্রে কোভিড বিধি নিয়ে গত কয়েকদিন বড্ড কড়াকড়ির রাস্তায় হেঁটেছে বিভিন্ন জেলার ডিএম। সম্প্রতি দিঘার রাস্তায় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। প্রচুর মানুষকে বিধি না মানায় ফেরানো হয়েছে মাঝ পথ থেকেই। তাতে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা বাংলার পর্যটন শিল্প আবার মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ নিয়ে বেরিয়ে এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসার পর মানুষ হাজারবার ভাববে সেই জায়গায় যেতে। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

কিছুদিন আগেই খুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। তবে মানতে হবে বেশ কিছু বিধি। দিঘার ক্ষেত্রে যেমন, সেখানে থাকতে হলে লাগবে ডবল কোভিড ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট বা ৪৮ ঘণ্টা আগের আরটিপিসিআর পরীক্ষার ফল। একই বার্তা গিয়েছিল দার্জিলিংয়ের ক্ষেত্রে। সেখানে আরটিপিসিআর-এর সময়টা ছিল ৭২ ঘণ্ট। আর তাতেই নিয়মের জাতাকলে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে পর্যটকদের। এদিন নবান্নের তরফে জেলাশাসকদের উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছা যাতে কড়াকড়ির জন্য পর্যটন ব্যবসার ক্ষতি না হয়।

রাজ্যে লোকাল ট্রেন এখনও বন্ধ। কিন্তু বাকি ক্ষেত্রে তেমনভাবে কিছুই মানা হচ্ছে না। যেমন পাবলিক ট্রান্সপোর্টে মানা হচ্ছে না সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং। মাস্ক পরছেন না অর্ধেকের বেশি মানুষ। অটোগুলোতে ঠাসাঠাসি করে তোলা হচ্ছে ৫ জন করে। চালক তো রয়েছেনই। মানে ৬ জন উঠছেন একটা অটোতে। তাহলে নিজের গাড়ি করে কেউ পর্যটন কেন্দ্রে গেলে সমস্যা কোথায়? হ্যাঁ, তবে মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের কাছেই।

জানা গিয়েছে দিঘা, দার্জিলিং, শান্তিনিকেতন, ডুয়ার্সের মতো জায়গায় পর পর হোটেল বুকিং বাতিল হচ্ছে নতুন নিয়মের পর থেকে। এখনও রাজ্যে প্রচুর মানুষের টিকার দুটো ডোজ জোটেনি। আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাটা খরচ সাপেক্ষ। কেন্দ্রে গিয়ে করালে ৯৫০ টাকা। বাড়িতে এসে নমুনা সংগ্রহ করতে সেটা পৌঁছে যাচ্ছে ১২০০-১৫০০-তে। সাধারণের কাছে অত টাকা কোথায়? বাড়ির সকলের পরীক্ষা করাতে হলে টাকা খরচের কথা ভেবেই মানুষ পিছিয়ে যাচ্ছে।

আর তাতেই সমস্যায় পড়েচে হোটেল, ট্যুরিজম সংস্থাগুল। রবিবার নবান্নের তরফে সব জেলাশাসকদের চিঠি লিখে নিয়ম শিথিল করতে বলা হয়েছে। আরটিপিসিআর-এর বদলে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করার দিকে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। যাতে পর্যটন শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

২০২০ থেকেই বন্ধ পর্যটন। কোভিডের প্রভাব ভীষনভাবে পড়েছে পর্যটনের উপর। হোটেল ব্যবসা প্রায় লাটে উঠেছে। হোটেল কর্মীরা প্রচুর পরিমাণে চাকরি হারিয়েছেন, মাইনে অর্ধেক গিয়েছে বড় বড় হোটেলের কর্মীদেরও। এই অবস্থায় পর্যটনের উপর বাধা মানে সমস্যা আরও বেড়ে যাওয়া। তবে উত্তর ভারতের মতো যাতে পরিস্থিতি না হয় সেদিকেও নজর রাখছে প্রশাসন।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)