উত্তরবঙ্গ পর্যটন অপেক্ষায় ভ্রমণপ্রেমীদের, কবে আসবে সেই দিন

উত্তরবঙ্গ পর্যটনডুয়ার্সের পথে। —নিজস্ব চিত্র

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: উত্তরবঙ্গ পর্যটন এর মধ্যেই বার কয়েক স্বমহিমায় ফেরার চেষ্টা করেছে কিন্তু সফল হয়নি। বাংলা জুড়ে যেভাবে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ তাতে ভ্রমণবিলাস যে এখনই সুখকর হবে না তা যেমন বুঝতে পেরেছেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষগুলো তেমনই পর্যটন পেশার সঙ্গে জরিত সকলে। তাই আবার সব বন্ধ। করোনার ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পর্যটন শিল্প। তার মধ্যেই ১৫ অগস্ট ছবিটা একটু অন্য রকম ছিল।

চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা করোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষই বাড়িতেই সময় কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। তার মধ্যেই স্বাধীনতা দিবসের দিন যেন কিছুটা স্বাধীন হয়েছিল মন। সেদিন অনেকেই পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ভিড় দেখা গিয়েছে ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি ও মূর্তি এলাকায়৷ অনেকদিন পর মূর্তি নদীর ধারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। গজলডোবার ভোরের আলোয় বাইক, গাড়ি রাখার জায়গা ছিল না। দীর্ঘদিন পর অনেকে ডুয়ার্সের বিভিন্ন রিসর্টে রাতও কাটান।

বিষয়টি নিয়ে খুশি রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ধিরে ধিরে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার তবে সেটা সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে। তাঁর বিশ্বাস করোনার সঙ্গে লড়াই করে মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আর তার সঙ্গে চাঙ্গা হবে বাং‌লার পর্যটন শিল্প।

মূর্তি নদী

অনেকদিন পর ডুয়ার্সে লোকজনের আনাগোনায় খুশি সেখানকার হোটেল, রেস্তরাঁর মালিকেরা। সত্যিই তো এই মানুষগুলোর জীবন কাটে নিত্যদিন ভ্রমণার্থীদের আবদারে। তাঁদের কেমন ঘর চাই, কী ভিউ চাই, খাওয়ার পাতে কী চাই এই সব দেখতে দেখতে কত বছর কেটে গিয়েছে। এই সব ছাড়া এতদিন বড্ড ফাঁকা ফাঁকা ছিল সব। কম ও অনিয়মিত হলেও যে মানুষ আসছে সেটাই স্বস্তি। দীর্ঘদিন অনেক কষ্টের পর স্থানীয় মানুষগুলো কিছু টাকার মুখ দেখল।

প্রতি বছর গরমে পাহাড় এবং ডুয়ার্স থাকে পর্যটকে ঠাসা। হোটেল, লজে ঘর পাওয়া যায় না। ভিন্ রাজ্য, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা আসেন। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব ছিল শূন্য। পাহাড় পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রেন, বিমানও ঠিকমতো চালু হয়নি। গত কয়েক মাসের লোকসানে বহু পর্যটন সংস্থার অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখে। গাড়িচালক, অফিস, হোটেল কর্মী কাজ হারিয়েছেন অনেকেই।

জলদাপাড়া

সেখানে ১৫ অগস্টের এটুকু ভিড়ে আশা দেখছেন পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, মানুষ একদিনের সফর করে সেদিনই ফিরে যাচ্ছে। রাতে অনেকেই থাকছেন না। থাকার পর্যটকের সংখ্যাটা আপাতত কম।

(আরও ফিচার পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)