এনজিপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন চালু হল দীর্ঘ ১৭ মাস পর, অতিমারিতে বন্ধ ছিল

Darjeeling Toy Train

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: এনজিপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ সব সময়ই বেশি। দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে টয়ট্রেনে জয় রাইড না নিতে পারলে যেন বেড়ানোই বৃথা হয়ে যায়। তবে কোভিড অতিমারির শুরু থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই হেরিটেজ ট্রেন। দীর্ঘ ১৭ মাস পর আবার চাকা গড়াল ওই পথে। প্রথমদিন যদিও পর্যটকদের হুড়োহুড়ি ছিল না। তবে সামনে পুজো আসছে। আর পুজোর ছুটিতে যে দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে পর্যটকের ঢল নামবে তার প্রমান দিচ্ছে ট্রেন ও হোটেল বুকিংয়ের তালিকায়। রেল কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস আর কিছুদিন পর থেকে পাওয়া যাবে না এই টয়ট্রেনের টিকিও।

এদিন এনজেপি থেকে ফ্ল্যাগ অফ করে ট্রেন যাত্রা সূচনা করেন কাটিহারের ডিআরএম এসকে চৌধুরী। দু’কামরার সেই ট্রেনে এনজেপি থেকে যাত্রী ছিল মাত্র ২ জন। পথে কিছু স্থানীয় যাত্রী ওঠানামা করেন।তবে এই ট্রেন চালুর সঙ্গেই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগের কথাও এদিন জানিয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। যা পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য যথেষ্ট। ২০২০-র ২২ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল এই এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা। মাঝে  দার্জিলিং-ঘুম জয় রাইড শুরু হলেও তাঁকে এনজেপির সঙ্গে যুক্ত করা যায়নি। কিছু দিন চলার পর দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আবার তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সব রকম কোভিড নিয়ম মেনেই এই ট্রেন চালানো হবে। যদিও এই টয়ট্রেন চলাচলের সব থেকে বাধা ধস। বর্ষাকালে এই ধসের কারণে লাইন ভেঙে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। তার উপর এই কোভিড অতিমারি তার সময় আরও বেশি দীর্ঘায়িত করেছিল।

৩০ অগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে এনজেপি-রংটং স্পেশাল ‘জঙ্গল টি সাফারি’। এনজেপি-দার্জিলিং টয়ট্রেন একটা দীর্ঘ সময় শুধু দাজির্লিং থেকে ঘুম বা কার্শিয়াং পর্যন্ত জয় রাইডের জন্যই চলাচল করে। ধসের জন্য যখন রাস্তা বন্ধ থাকে। যার চাহিদা পর্যটকদের মধ্যে সব সময়ই তুঙ্গে থাকে। ছোট্ট ট্রেনে করে পাহাড়ের শোভা দেখতে দেখতে এগিয়ে যাওয়ার মজাই আলাদা। সবাই তা উপভোগ করতে চান। এবার সেই লক্ষ্যেই এই ‘জঙ্গল টি সাফারি’র উদ্যোগ। আর তা টে পর্যটকদের মধ্যে মুহূর্তেই বিখ্যাত হয়ে উঠবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

‘জঙ্গল টি সাফারি’র ভাড়া জনপ্রতি ১০০০ টাকা। সেখানে ট্যুরিস্টদের জন্য থাকবে অভিনব বেশ কিছু ব্যবস্থা। তার মধ্যে অন্যতম টি টেস্টিং। এর পাশাপাশি পুজোর আগেই বাড়ানো হচ্ছে দার্জিলিং থেকে ঘুরেম মধ্যে জয় রাইডের ট্রেনও।  আপাতত ১২টি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর সঙ্গে উন্নত করা হচ্ছে ট্র্যাক, ইঞ্জিন, সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ট্রেনের কামরাও। ৩০ বছর পর পার্সেল ভ্যান চালুর কথাও এদিন জানানো হয়।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)