আতঙ্কে হিমাচল প্রদেশ, পর্যটকদের কোভিড বিধি মানার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

আতঙ্কে হিমাচল প্রদেশ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আতঙ্কে হিমাচল প্রদেশ প্রশাসন এই মুহূর্তে। কোভিড এবং লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ট্যুরিস্টের যাতায়াত বন্ধ ছিল হিমাচল প্রদেশে। কিন্তু কতদিন আর সব বন্ধ করে রাখা যায়। যে রাজ্যের মূল জীবনধারণ নির্ভর করে পর্যটনের উপরই সেখানে আর কতদিন দরজা বন্ধ করে রাখা যাবে। তবে সাধারণ মানুষ এতটা মরিয়া হয়ে উঠবেন তা হয়তো ভুলেও ভাবেনি সেই রাজ্য। যে কারণে এবার সামনে এসে আবেদন জানাতে হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর পর্যটকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, ‘‘পর্যটকরা আসুন কিন্তু অনুরোধ কোভিড বিধি মেনে চলুন। রাজ্যে পর্যটকদের ভিড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।’’

সম্প্রতি উত্তর ভারতের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে যেভাবে মানুষের ঢল নামছে তা সত্যিই আতঙ্কের। এত মানুষ একসঙ্গে কী করে বোধ বুদ্ধি হারিয়ে ফেলছে সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। যেদিন হিমাচল প্রদেশে ট্যুরিস্টদের ঢোকার রাস্তা খুলে দেওয়া হয়েছিল, সেদিনই দেখা গিয়েছিল সেই পথে গাড়ির ঢল। চণ্ডিগড়ের পর থেকেই প্রায় জ্যাম তৈরি হয়েছিল। হোটেলগুলোতে তিলধারণের জায়গা নেই। এই অবস্থায় কোভিড বিধিও শিকেয় উঠেছে।

সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে মুসৌরির কেম্পটি ফলসে মানুষের ভিড় এবং ঠাসাঠাসি করে জলে নেমে পড়েছেন সকলে। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং তো দূরঅস্ত সঙ্গে কারও মুখে নেই মাস্ক। যা দেখে রীতিমতো সংশয় প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখনও দ্বিতীয় ঢেউ পুরোপুরি বিদায় নেয়নি। তার মধ্যে রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি।

গোটা দেশে  দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার পিছনে সব থেকে বড় কারণ ছিল মানুষের অতিমাত্রায় স্বাভাবিক জীবনে ঢুকে পড়া। তার সঙ্গে ‌যোগ হয়েছিল কুম্ভমেলা ও বিধানসভা নির্বাচন। কুম্ভমেলার জন্য যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল উত্তরভারত। তেমনই সেখান থেকে কোভিড বয়ে বিভিন্ন রাজ্য ছড়িয়ে দেওয়ার নজিরও কম নেই। যেমন কুম্ভ মেলা থেকে ফিরে কোভিড আক্রা্ন্ত হয়েছিলেন নেপালের রাজা-রানী। সেই কুম্ভমেলা থেকে ফিরেই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক নাদিম-শ্রবন  জুটির শ্রবনের।

বিধানসভা নির্বাচন কেড়ে নিয়েছে অনেক নেতা, সাংবাদিকের জীবন। বিশেষ করে এই নির্বাচনের সব থেকে খারাপ প্রভাব পড়েছে বাংলার উপর। ভোট চলাকালীন, ভোটের পর কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেক রাজনৈতিক নেতার। তার মধ্যে রয়েছেন খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। নির্বাচনের জিতল‌েও তা দেখে যাওয়া হয়নি তাঁর। মৃত্যু হয়েছে একাধিক সাংবাদিকেরও। তার মধ্যে রয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলের এডিটর অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, আজ তক চ্যানেলের জনপ্রিয় মুখ রোহিত সরদানা।

এই তালিকাটা অনেক দীর্ঘ। সবার জানা। সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রতি মুহূর্তের খবর পৌঁছে যায় মানুষের ঘরে। তবুও সাবধানতা কোথায়? একই পথে হাঁটছে উত্তরাখণ্ডও। বরং সেখানকার সরকার ইতিমধ্যেই হোটেলগুলোতে ৫০ শতাংশ মানুষকে থাকতে দেওয়ার নিয়ম লাগু করেছে। অন্যদিকে, হিমাচলে পর্যটকদের সামলাতে পুলিশ এবার তৎপর হয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)