বাতিল দার্জিলিং মেল, যাত্রী নেই তাই বন্ধ করা হল পূর্ব রেলের ১০টি ট্রেন

বাতিল দার্জিলিং মেল

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: বাতিল দার্জিলিং মেল কারণ অবশ্যই অতিমারির জন্য যাত্রী সংখ্যা প্রায় শূন্যতে নেমে আসা। মঙ্গলবার পূর্ব রেল আপাতত ১০টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল। করোনার জেরে রবিবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে কড়া লকডাউন। অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য ছাড়া কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যে বাজার খোলা থাকছে সকালে মাত্র তিন ঘণ্টা। সব মিলে লকডাউন মানা হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন তেমনই সাধারণ মানুষও আহ্বান জানিয়েছে লকডাউনকে।

তার মধ্যেই চলছিল দূরপাল্লার ট্রেন। যার ফলে বাড়ি থেকে ট্রেন ধরতে যাওয়া বা ট্রেন থেকে নেমে বাড়ি ফেরা হয়ে উঠেছিল ঝক্কির। যার ফলে পর পর বাতিল হচ্ছিল ট্রেনের বুকিং। সঙ্গে ছিল করোনা আতঙ্ক। সেই ঝুঁকি মাথায় করে কেউই বেড়াতে যেতে প্রস্তুত ছিল না। সঙ্গে বেড়াতে যেতে হলেও ছিল নানা ঝক্কি। যেমন ওড়িশা বা সিকিম যেতে গেলে লাগবে ৭২ ঘণ্টা আগের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট।  তার সঙ্গে কোথাও কোথাও আরটিপিসিআর পরীক্ষার মুখেও পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সেখানে পজিটিভ এসে গেলে সেখানেই আটকে যেতে হবে কোয়রান্টিন। সব মিলে আতঙ্কের পরিবেশ।

সিকিমের পরিকল্পনা মানুষ আগেই বাতিল করেছিল। দার্জিলিংয়ের পরিকল্পনা তাও জিইয়ে ছিল আরও কয়েকদিন। কিন্তু দার্জিলিংয়েও ক্রমবর্ধমান কোভিড আক্রান্ত। যার ফলে শৈল শহরের আইকনিক গ্লেনারিজকে সেফ হোমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। দার্জিলিং যাওয়া হবে কিন্তপ কেভেন্টার্স আর গ্লেনারিজে একবারও ঢু মারা যাবে না তা হয় নাকি। সব মিলে হতাশাই জুটবে ঘোরার বদলে। তার উপর নিরাপত্তার বিষয়টাও থাকছে। তাই আপাতত ঘোরার পরিকল্পনা কিছুদিনে জন্য না হয় তোলা থাক আলমারিতে। ততদিন চলুক মানস ভ্রমণ।

এদিন পূর্ব রেল ঘোষণা করে দিল আপাতত ২০ মে থেকে বাতিল করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং মেল ও পুরী স্পেশ্যাল। এছাড়া কলকাতা-হলদিবাড়ি, কলকাতা-সিলঘাট, হাওড়া-বালুরঘাট ট্রেনগুলোর যাতায়াতও বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। ১৯ মে থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে।

এর আগে উত্তর রেল বাতিল করেছে একগুচ্ছ ট্রেন। কারণ সেই অতিমারির জন্য যাত্রী না হওয়া। তার মধ্যে রয়েছে শতাব্দি, জন শতাব্দি, রাজধানীর মতো ট্রেন। মোট ২৮টি ট্রেন বাতিল করেছিল উত্তররেল। তার আগে মধ্যরেলও বাতিল করেছিল ২৪টি ট্রেন। প্রাথমিকভাবে ১০ মে পর্যন্ত বাতিল করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ৩০ জুন করা হয়। ধরে নিতেই হচ্ছে জুলাইয়ের আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না।

করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় দেশ জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পুরো রেল পরিষেবা। তার পর পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী একটু একটু করে চালু হয় ট্রেন চলাচল। সেখান থেকে কিছুটা স্বাভাবিকও হয়। তবে সব ট্রেনই চলছি স্পেশ্যাল নাম দিয়ে। আরও একবার বন্ধের মুখে ভারতের রেল পরিষেবা। কবে দ্বিতীয়বার সব স্বাভাবিক হবে এখন তার অপেক্ষায় দিন গোনা।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)