কোভিড বিধি উধাও, মুসৌরির কেম্পটি ফলসের ভিডিও আঁৎকে ওঠার মতো

কোভিড বিধি উধাওমুসৌরির কেম্পটি ফলসে মানুষের ঢল

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভিড বিধি উধাও হতে শুরু করেছে বেশ কিছু দিনি আগে থেকেই। গত মাসে হিমাচল তাঁদের কোভিড বিধি শিথিল করতেই আমরা দেখেছিলাম মানুষের ঢল নেমেছিল সিমলায়। কাতারে কাতারে মানুষ বেরিয়ে পড়েছিলেন গরম থেকে মুক্তি পেতে। কিন্তু এই মুক্তি যে মারণ ভাইরাসকে বয়ে আনতে পারে তা ভুলেই গিয়েছিল মানুষ। দেখা গিয়েছিল সিমলার রাস্তায় সেই জ্যামের বিভৎস ছবি। তাঁকেও মাত দিতে প্রস্তুত কেম্পটি ফলসের এই ভয়ঙ্কর ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষের এমন ভিড় যা সাধারণ সময়েও দেখা যায় না।

গোটা দেশে দ্বিতীয় ঢেউ যে ভাবে মরণ কামড় দিয়েছিল তা থেকে এখন অনেকটাই মুক্তি পাওয়া গিয়েছে। শিথিল করা হয়েছে কোভিড বিধি। মানুষ বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন। সাধারণত, এই সময় উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল গরমের প্রকোপ থাকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বরং এবার দিল্লির গরম সব রেকর্ডকে ছাঁপিয়ে গিয়েছে। এই সময় দিল্লি,  পঞ্জাব, চণ্ডিগড় থেকে মানুষ উইকএন্ডে পৌঁছে যায় সিমলা, মুসৌরিসহ বিভিন্ন পাহাড়ি জায়গায়।

এবার কোভিডের কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না। মানুষের দম বন্ধ করা অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সেকারণে লকডাউন শিথিল হতেই মানুষ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। মানালির ভিড়ে ঠাসা ছবি হোক বা সিমলার রাস্তায় জ্যাম সব তারই প্রতিফলন। এবার সেই দৃশ্যই দেখা গেল মুসৌরির কেম্পটি ফলসে। গরম থেকে বাঁচতে মানুষ নেমে পড়েছে পাহাড় থেকে নেমে আসা বরফ শীতল জলে স্নান করতে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by So Delhi (@sodelhi)

সিঁড়ি দিয়ে অনেকটা উপরে উঠে তবে পৌঁছতে হয় কেম্পটি ফলসের মূল ঝোড়ার সামনে। নিচেও একটা অংশ রয়েছে। উপর থেকে আছড়ে পড়া জল ক্রমশ নিচে নেমে একটা জায়গায় জমা হয়ে আবার নেমে যাচ্ছে একদম খাদের গভীরে। উপরে যেখান থেকে পাহাড়ের মাথা থেকে প্রথম ঝোড়াটা নেমে আসছে সেখানেই স্নান করা যায়। ঝোড়ার পাশে ভাড়া পাওয়া যায় স্নানের পোষাকও। জায়গাটা খুব বড় নয়। তার মধ্যেই পরিবার, বন্ধু, আত্মীয় নিয়ে মানুষ নেমে পড়েছে স্নান করতে। গায়ে গা লাগিয়েই চলছে স্নান। আর এই অবস্থায় কারও মুখে মাস্ক থাকবে এমন আশা করাটা বোকামো ছাড়া আর কিছুই নয়।

তবে মানুষের এমন মতিভ্রম কিন্তু মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলছেন, গত এপ্রিল-মে মাসের স্মৃতি এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেল কী করে মানুষ? এবার যদি এভাবে আবার নতুন করে হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েন আর চিকিৎসার সমস্যা হয় এই মানুষগুলোই কাঠগড়ায় তুলবে প্রশাসন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। সাধারণ মানুষের দায় বোধটা কোথায়?

এই ছবি যেন তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ককে নতুন করে উসকে দিয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ এখনও পুরোপুরি যায়নি। তার মধ্যেই রয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি।  কিন্তু তা নিয়ে কে ভাবে। তবে টনক নড়ছে না রাজ্য সরকারগুলোর। হিমাচলপ্রদেশ বা উত্তরাখণ্ড সরকারের নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। যে ভিড়ের ছবি বার বার উঠে আসছে তাতে কোভিড বিধি অনেক আগেই শিকেয় উঠে গিয়েছে। এখনই না আটকালে তৃতীয় ঢেউ এল বলে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)