বেড়াতে গিয়ে অ্যাডভেঞ্চারে মেতে ওঠার আগে ভাবুন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বেড়াতে কে না ভালবাসে? একদল ভ্রমণপ্রেমী রয়েছেন যাঁরা খুব রিল্যাক্স করে ঘুরতে ভালবাসেন। সময় নিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে, প্রকৃতির শোভা উপভোগ করে, জায়গাটা দেখে। এই সংখ্যাটাই বেশি। আর একটা দল আছে যারা বেড়াতে গিয়েও অ্যাডভেঞ্চার করতে ভালবাসে। আর সেই আকর্ষণকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনে ব্যবস্থা করা হয়েছে প্যারাগ্লাইডিং, রিভার র‍্যাফ্টিং, হট এয়ার বেলুন ট্যুর-সহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস। কিন্তু এগুলো কতটা নিরাপদ, প্রশ্ন এখন এটাই। আদৌ কি সঠিক, অভিজ্ঞ মানুষের হাতে রয়েছে এই সবের দায়িত্ব?

রবিবার মেক্সিকোতে এমনই এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল। পাহাড়ের শোভা আকাশে উড়তে উড়তে দেখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। সে এক স্বর্গীয় সুখ। কিন্তু আকাশে ওড়ার পরই আগুন লেগে যায় সেই ‘হট এয়ার’এ। মাঝ আকাশে কিছুই করার ছিল না পর্যটকদের। কিন্তু প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে ঝাঁপ দিলেন তাঁরা। মৃত্যু দু’দিকেই অপেক্ষা করছিল। কারণ অত উপর থেকে ঝাঁপ দিলে যে বাঁচবেন না সেটা ভাবার মতো তখন অবস্থা ছিল না। আর যে ঝাঁপ দিতে পারেনি, সে ঝলসে গেল। সে একটি শিশু।

সেই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তার সত্যতা আমরা যাচাই করিনি। কিন্তু জানা যাচ্ছে, ঝাঁপ দিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে আর ঝলসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিভিন্ন পর্যটন স্থানে বেসরকারি উদ্যোগে এই সবের ব্যবস্থা থাকে। অনেক বেশি টাকা দিয়ে সেসব উপভোগ করেন পর্যটকরা। কিন্তু তাঁরা যে টাকা দিয়ে মৃত্যু কিনছে সেটা বুঝতে পারেন না। এক্ষেত্রে সরকারের অনেকটাই ভূমিকা থেকে যায়। সঠিক সংস্থাকেই অনুমতি দেওয়াটা জরুরী। আর অনুমতি দেওয়ার পর কাজ শেষ হয়ে যায় না। সেক্ষেত্রে নিয়মিত পর্যবেক্ষণটাও প্রয়োজন।

পর্যটন স্থলে রোপওয়ে আটকে যাওয়া বা ছিড়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও নতুন নয়। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া এবং বেশ কিছু প্রাণ চলে যাওয়ার পর দেখা যায় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই সে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব মিলে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আমাদের দেশেও এর নজির কিছু কম নয়। এই তো কিছুদিন জঙ্গল সাফারি করতে গিয়ে গণ্ডারের তাড়ায় গানি দুর্ঘটনার মতো ঘটনা ঘটে গেল। সেই ভিডিও দেখলেত স্পষ্ট বোঝা যাবে যাঁদের হাতে পর্যটকদের দায়িত্ব ছিল তাঁরা সকলেই ছিলেন আনাড়ি। যার ফলে অতগুলো মানুষের জীবন সংশয় তৈরি হল।

এর আগে দেওঘরের মতো জায়গায় রোপওয়ে ছিড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। নেপালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখানোর বিমান একাধিকবার ভেঙে পড়েছে। কিছুদিন আগেও একটি বিমান ভেঙে পড়েছে।  সব মিলে দায়িত্ব রয়েছে সবার। যেমন সংস্থার, প্রশাসনের এবং পর্যটকদেরও। তাই দেখতে হবে বেড়ানোটা যেন সুন্দর হয়। ঝুঁকি ততটাই নেব যতটা প্রাণ সংশয় হবে না। তবে দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই, যে কোনও সময় যে কোনও ভাবে আসতে পারে, সবটা মানুষের হাতেও থাকে না। শুধু যতটুকু নিয়ে ভাবলেই অনেকটা সুরাহা হবে যতটুকু মানুষের হাতে রয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle