জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রোহিত শর্মা যে দুরন্ত ফর্মে রয়েছে তা নতুন করে বলার আর কোনও দরকার নেই। না হলে বিশ্বকাপের মতো কঠিন মঞ্চে তিন ম্যাচ খেলে একটি হাফ সেঞ্চুরি ও দু’টি সেঞ্চুরির কথা কেউ স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন বলে মনে হয় না। যা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন হিটম্যান। রবিবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ছিল টানটান উত্তেজনা। গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল এই ম্যাচের ফলের উপর। গ্যালারিতে একটিও সিট খালি ছিল না। বৃষ্টির ভ্রুকূটি থাকলও শুরুতে তা সমস্যায় না ফেললেও পরের দিকে তা মাঝে মাঝেই খেলার উপর প্রভাব ফেলেছে। পাকস্তানের পথ শেষে এসে চূড়ান্ত কঠিন করে দিয়েছে বৃষ্টি। না হলেও ৩৩৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছনো পরে ব্যাট করে সহজ ছিল না। পারেওনি। ৮৯ রানে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
রবিবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ। বিশ্বকাপে রোহিতের সঙ্গে প্রথম ওপেন করতে নামলেন লোকেশ রাহুল। শিখর ধাওয়ানের না থাকাটা বুঝতে দেননি। মাথা ঠান্ডা রেখে রোহিতকে সমর্থন করে গেলেন। ৫৭ রানে আউট হলেন। ততক্ষণে বড় রানের মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
রোহিত শর্মা এই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটিও করে ফেলেছেন। ১১৩ বলে ১৪০ রানে থামেন তিনি। এর পর তিন নম্বরে নেমে খেলার গতি ধরে রাখেন বিরাট কোহলি। ৭৭ রান করেন তিনি। কিন্তু আউট না হয়েএই তিনি যেভাবে মাঠ ছাড়েন তা নিয়ে আফশোস করা ছাড়া কিছুই করার নেই। মহম্মদ আমিরের একটা বাউন্সার ব্যাট না লাগলেও তিনি ধরে নেন সেটা ব্যাটে লেগেই ক্যাচ হয়েছে। তাই কোনও আবেদন না করলেও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। পরে রিপ্লেতে দেখা যায় তিনি আউট ছিলেন না।
The end of a wonderful day of cricket.
India finished it victorious but both sets of fans enjoyed a day out to cherish. #CWC19 | #INDvPAK pic.twitter.com/qLpAY2aVwG
— Cricket World Cup (@cricketworldcup) June 16, 2019
৫০ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রানে থামে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মন্থরভাবেই শুরু করে পাকিস্তান। এই রান তাড়া করা সহজ ছিল না। তবে শুরুতেই জোড় ধাক্কা খায় ভারতীয় শিবির। মাত্র ২.৪ ওভার বল করে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ভুবনেশ্বর কুমার। পরে আর খেলতে নামেননি তিনি। সোমবাআর পরীক্ষার পরই জানা যাবে তাঁর চোটের অবস্থা। তাঁর ফেলে যাওয়া বাকি দুই বল করতে নিয়ে আসা হয় নবাগত বিজয় শঙ্করকে। তিনি এসেই ঝটকা দেন পাকিস্তানকে। সাত রান করে তাঁর বলে এলবিডব্লু হয়ে যান ইমাম-উল-হক।
এর পর ফখর জামান ও বাবার আজম অনেকক্ষণ ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। হাফ সেঞ্চুরি করেন ফখর জামান। অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন বাবার আজম। এর পর পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন কুলদীপ যাদব। একই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেন হার্দিক পাণ্ড্যে। পরে আবার বল হাতে নেমে উইকেট তুলে নেন বিজয় শঙ্কর। এর পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টি থামলে ওভার কমিয়ে ৪০-এ নিয়ে আসা হয়। যাতে পাকিস্তানের রান দাঁড়ায় ৩০২। বৃষ্টির আগে পর্যন্ত ৩৫ ওভার খেলা হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। ১৬৬-৫-এ থেমেছিল। পাঁচ ওভারে বাকি রাআন করা সম্ভব ছিল না। পারেওনি।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে একশো শতাংশ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখল ভারত। এই নিয়ে বিশ্বকাপের আসরে সাত বারের সাক্ষাতে সাত বারই হারল পাকিস্তান। ২০১৯ বিশ্বকাপে এই জয়ের সঙ্গে চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এল ভারত।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন)