মেসির পেনাল্টি মিসের দিনই বিশ্বকাপে অভিষেক ভার-এর

মেসির পেনাল্টিপেনাল্টি শট নিচ্ছেন মেসি।

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: মেসির পেনাল্টি মিস। বিশ্বকাপ শুরুটা ভাল হল না। ভাল হল না ২০১৪ বিশ্বকাপ রানার্সদের শুরুটাও। যেদিন চুরান্ত সাফল্যের সঙ্গে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ঠিক তার পরের দিন ব্যর্থ মেসি। পর্তুগাল ৩-৩ গোলে স্পেনের সঙ্গে ড্র করেছিল। হ্যাটট্রিক করেছিলেন রোনাল্ডো। শনিবার আর্জেন্তিনাও ড্র করল। কিন্তু প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড। তাও ফল ১-১। যেখানে মেসির নাম নেই। তার থেকেও বড় হয়ে দেখা দিল লিও মেসির পেনাল্টি মিস। না হলে জিততেও পারত আর্জেন্তিনা।

ম্যাচ শুরুর ১৯ মিনিটের মধ্যেই দারুণ গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আগুয়েরো। কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার উৎসব থামার আগেই আইসল্যান্ডকে সমতায় ফেরান ফিনবোগাসন। তার সঙ্গে এ দিন আইসল্যান্ডের জন্য হিরো হয়ে গেলেন গোলকিপার হালডরসন। মেসির শট বাঁচিয়েছেন বলে কথা।আইসল্যান্ডের জন্যও আর্জেন্তিনার কাছ থেকে পয়েন্ট কাড়াটা সহজ ছিল না।

ডেনমার্ক শিবিরে জয়োল্লাস।

পুরো ম্যাচে মেসির চেনা দুরপাল্লার শট যেমন ছিল তেমনই ছিল ড্রিবল, সতীর্থর সঙ্গে ছোট ছোট পাস খেলা। কিন্তু গোলের খাতায় নাম লেখাতে পারলেন না ফুটবলের ভগবান।

এ দিনই রাশিয়া বিশ্বকাপে ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি সিস্টেমের অভিষেক হল ফ্রান্স-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ দিয়ে। ভার-এর মাধ্যমে পেনাল্টি পাওয়া দিয়ে সেই ম্যাচ শেষ পযর্ন্ত লেখা থাকল ফ্রান্সেরই নামে। পল পোগবার শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ এ অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল ফ্রান্স।

হ্যাটট্রিক ম্যান রোনাল্ডো, স্পেনের সঙ্গে ড্র, হার ইজিপ্ট-মরক্কোর

গ্রুপ ‘সি’র ম্যাচে শনিবার ৫৮ মিনিটে গ্রিজম্যানকে ফাউল করলেও গ্রাউন্ড রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ায় ভার-এর সাহায্য নিতে হয়। তাতে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান। চার মিনিটের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফেরান মিলে জেদিনাক। পেনাল্টি থেকে। ভাগ্য ভাল ছিল ফ্রান্সের।

শেষ মুহূর্তে গোল করে জেতালেন পল পোগবা।

শনিবার যেমন ছিল জোড়া ভিডিও রেফারিংয়ের দিন। তেমনই ছিল জোড়া পেনাল্টি মিসেরও। মরদোভিয়ায় প্রথমার্ধের পেনাল্টি মিসটাই কাল হয়ে গেল পেরুর। ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপে ফিরেছিল পেরু। ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে যেতে হল। কুয়েভার পেনাল্টি মিসের খেসারত দিতে হল পেরুকে। কুয়েভার শট ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই ভেঙে পড়তে দেখা গেল কুয়েভাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাই প্রায় হল ডেনমার্কের গোল দিয়ে। এরিকসেন ছোট্ট একটা ফ্লিকে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন গোল থেকে মাত্র ১০ গজ দুরে দাঁড়িয়ে থাকা পলসেনকে। গোল করে দলকে জয় এনে দিলেন পলসেন। পেরুর জন্য পড়ে থাকল হতাশা।