হ্যাটট্রিক ম্যান রোনাল্ডো, স্পেনের সঙ্গে ড্র, হার ইজিপ্ট-মরক্কোর

সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ড

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো:  বিশ্বকাপের শুরুটা করে দিয়েছিলেন হ্যাটট্রিক ম্যান রোনাল্ডো। শেষটাও করলেন তিনি।

পেনাল্টি থেকে গোল করে যখন পর্তুগালকে এগিয়ে দিলেন তখন ঘড়ির কাঁটা সবে চার মিনিটে পৌঁছেছে। রোনাল্ডোকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েই নাচো ভুলটা করেছিলেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে সাধারণত ভুল করেন না রোনাল্ডো। এ যাত্রাতেও করেননি। চার মিনিটে এগিয়ে যাওয়াটা অবশ্য বড্ড তাড়াতাড়ি। এখান থেকে ম্যাচের ভাগ্য বুঝে নেওয়া শুধু কঠিনই নয়, অসম্ভব। যেমনটা এ ক্ষেত্রেও হল। চার মিনিটে পর্তুগাল এগিয়ে গেলেও শেষ হাসি আসলে কারও হাসা হল না। ম্যাচ থেকে গেল ৩-৩ গোলেই। গোল, পাল্টা-গোলে শেষ পর্যন্ত জমে থাকল সোচি।

স্পেনের খেলা দেখে কোনও অংশেই বোঝা গেল না এক দিন আগেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে তাদের দু’বছরের কোচকে। বরং শুরুতেই গোল হজম করে আরও মরিয়া দেখাল স্প্যানিশদের। শুক্রবার পর্তুগাল তাদের চেনা জার্সিতে থাকলেও স্পেনকে পাওয়া গেল সাদা জার্সিতে। দিয়েগো কোস্তা স্পেনকে প্রথম সমতায় ফেরালেন ২৪ মিনিটে। ঠিক দু’মিনিটের মাথায় পোস্টে লেগে না ফিরলে তখনই এগিয়ে যেতে পারত স্পেন। কিন্তু তেমনটা না হয়ে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে রোনাল্ডোর দূরপাল্লার শট দি হিয়ার হাতে লেগে চলে গেল গোলে। আবার এগিয়ে গেল পর্তুগাল।

স্পেনের ৩-২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস স্থায়ী হল না।

কিন্তু না এখানেই শেষ নয়, ৫৫ মিনিটে আবারও দিয়েগো কোস্তার গোলে ২-২ গোলে সমতায় ফিরল স্পেন। এর তিন মিনিটের মধ্যে স্পেনকে গোল করে এগিয়ে দেন নাচো। প্রতিপক্ষকে পেনাল্টি পাইয়ে দেওয়ার খেসারত দিলেন নাচো। এর পুরোটাই প্রায় ছিল স্পেনের। ভাগ্যিস মাঠে একটা রোনাল্ডো ছিল। না হলে ওই মুহূর্তে অমন একটা ফ্রি কিক অন্য কারও পা থেকে বেরত কিনা সন্দেহ। রোনাল্ডোর পা থেকে যখন হ্যাটট্রিক গোলটি এল তখন ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষ হতে আর বাকি দু’মিনিট। নিজের ৫১তম হ্যাটট্রিকটি তো করলেনই সঙ্গে বিশ্বকাপের ৫১তম হ্যাটট্রিক ম্যানও তিন।

বিশ্বকাপে বিশ্ব পাগল, আমরা কেন নয়?

অন্য দিকে, একাতেরিংবার্গে শুক্রবার প্রথম দুটো ম্যাচ ছিল লেট গোলের। ৮৯ মিনিটে গোল করে জিতল উরুগুয়ে। মহম্মদ সালাহকে ছাড়াই এ দিন দল সাজাতে হল ইজিপ্টকে। ৮৮ মিনিট পর্যন্ত খেলা ছিল ড্রয়ের। ৮৯ মিনিটে জিমেনেজের হেড সরাসরি চলে গেল গোলে। ডান দিক থেকে উড়ে আসা একটা ফ্রিকিকে জোড়াল হেড বদলে দিল ম্যাচের রঙ। ইজিপ্টকে হারিয়ে ম্যাচ জজিতে নিল উরুগুয়ে হারলেও পুরো ম্যাচে ইজিপ্ট কিন্তু ভাল ফুটবলই উপহার দিয়েছে। লুই সুয়ারেজ এ দিন ছিলেন বেশ অফ-কালার। সুয়ারেজকে প্রতিপক্ষের বক্সেই ঢুকতে দেখা গেল না।

জয়ের পর ইরানের সমর্থকরা রাশিয়ার রাস্তায়।

সেন্ট পিটার্সবার্গে অবশ্য ঘটল অন্য এক ঘটনা। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগের মুহূর্তে একটা ছাপোষা ম্যাচ যে এ ভাবে খেল দেখাবে কে জানত! মরক্কোর একটা পরিবর্তনেই শেষ হয়ে গেল খেলা। শুক্রবার মরক্কো কোচ আজিজ বৌহাদুজকে পরিবর্ত হিসেবে নামিয়েছিলেন। আর সেই আজিজের সেম সাইড গোলে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় জয় পেল ইরান। নিজের জালেই বল জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল আজিজকে।